দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভারে ভবন ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। প্রতিটি মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটি একটি চরমতম সত্য। কিন্তু সেই মৃত্যু যদি হয় অস্বাভাবিক এবং মানুষসৃষ্ট তাহলে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন আসতে পারে- কেনো এতো মৃত্যু?
মানুষের জীবন এখানে কত সস্তা! তা দেখে কবি সুকান্ত অবাক হয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘দেখি এই দেশে মৃত্যুরই কারবার’, বন্যায় মৃত্যু, ঝড়-তুফানে মৃত্যু, সংঘাত-সংঘর্ষে মৃত্যু। অতঃপর যোগ হয়েছে বহুতল ভবনধসে অসংখ্য মৃত্যু। ঝড় নেই, ঝঞ্ঝা নেই, ভূমিকম্প নেই; অথচ গতকাল ২৪ এপ্রিল সাভারে একটি নয়তলা ভবন ধসে পড়ল। এর আগে এই সাভারের আশুলিয়ায় স্পেকট্রাম গার্মেন্টের ভবন ধসে পড়েছিল। বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার ঘটনায় বহু মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছে দেড় হাজারের মতো।
সাভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন রানা প্লাজা একটি বহুতল ভবন। ভবনটির তিনতলা থেকে সাততলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা। স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছিল। দিনের শুরুতেই জীবন দিতে হয়েছে অনেক পোশাকশ্রমিককে। সাভারের এই বহুতল ভবনধসের ঘটনাটি শুধু নয়, এমন আরো অনেক শোকাবহ ঘটনা এর আগে জাতিকে বেদনার্ত করেছে। ভবন নির্মাণের ত্রুটি ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখা দিলে বিষয়টি সকলের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরও কেনো ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হলো না সে প্রশ্ন এখন প্রতিটি বিবেকবান মানুষের। কেনো কতিপয় মানুষের খাম-খেয়ালির কারণে আজ এতো মানুষকে প্রাণ দিতে হলো। কেনো এতো মানুষকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে। এসব প্রশ্নের জবাব কি কেও দিতে পারবেন?