দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভারের বিধ্বস্ত রানা প্লাজার মালিক বহুল আলোচিত সোহেল রানা এখন কোথায় কেও তা বলতে পারছেন না। কেও বলছেন, তিনি পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন। তবে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের আশ্রয়েই তিনি আছেন। যে কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ধরছে না। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সোহেল রানাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও তাকে গ্রেফতারে খুব একটা গা করছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সাভার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেছেন, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেককে গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল রানার চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী ও তার ফুপাকে মানিকগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে রানার অনুপস্থিতিতেই তার বাড়ির মালামাল সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছেন তার কর্মচারীরা, যারা রানার নির্দেশে মালামাল নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোথায় নেয়া হচ্ছে তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সাভারের স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের খুবই ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত সোহেল রানা সাভার পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে কমিটিতে তার নাম রয়েছে। এই কমিটি তৈরি করেছিলেন মুরাদ জং নিজেই। যদিও এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন। তবে এই কমিটি জেলা থেকে অনুমোদন পায়নি। গোটা সাভারে মুরাদ জংয়ের সঙ্গে তার ব্যানার ফেষ্টুন রয়েছে। সব ফেস্টুনেই তার নিজের পরিচয় পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এখন সবার কাছে সেই কমিটির তালিকা। তবে সাভারের স্থানীয় লোকজন বলছেন, সেখানকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সক্রিয় ব্যক্তি হলেন এই সোহেল রানা। এসব তথ্য দিয়েছে দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ভার্সন।
জানা গেছে, সোহেল রানা যাতে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন সে জন্য সব স্থল ও বিমানবন্দরে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। রানার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মুন্নি বেগম ও তার ফুপা আনোয়ার হোসেনকে শুক্রবার ভোরে হরিরামপুর উপজেলা থেকে আটক করা হয়। এরপর রানার স্ত্রী ও তার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে পুলিশ আটক করে।
অপরদিকে রানা ভবনের অপর একটি গার্মেন্টস বারটেক্স লিমিটেডের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম ও ইথারটেক্সের মালিক আনিসুর রহমানকেও খুঁজছে পুলিশ।