দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘ বলেছে- দু’পক্ষই গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন গেরিলা দল হামাস উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন করেছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন গেরিলা দল হামাস উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন করেছে, যেটি প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। দীর্ঘ এক বছর ধরে তদন্তের পর জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এতথ্য প্রকাশ করেছেন।
গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উভয়েরই মারাত্মকভাবে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ রযেছে বলেও জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। অবশ্য দু’পক্ষই আইন ভঙ্গ না করার দাবি করে আসছে।
এক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল এই তদন্ত প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নৈতিকদিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। অপরদিকে হামাস তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই প্রতিবেদনে ভুলভাবে হামলাকারী ও হামলা শিকার দুই পক্ষকেই এক কাতারে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুলাই হতে আগস্টের মধ্যে ৫০ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ চলে। পরে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে উভয়পক্ষ শান্ত হয়। ওই হামলায় ফিলিস্তিনের প্রায় দুই হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। আহত হয় শিশুসহ বহু মানুষ। ধ্বংস হয় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি।