দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৯২ বছর বয়সী বৃদ্ধার গর্ভে ভ্রণ থাকতে পারে তা কেও কখনও চিন্তাও করেনি। কিন্তু হতবাক হওয়ার আরও একটি কারণ হলো সেই ভ্রুণ শুধু ভ্রুণ নয় এটি ভ্রূণের মমি!
৯২ বছর বয়সী বৃদ্ধার গর্ভে ভ্রণ থাকতে পারে তা কেও কখনও চিন্তাও করেনি। কিন্তু হতবাক হওয়ার আরও একটি কারণ হলো সেই ভ্রুণ শুধু ভ্রুণ নয় এটি ভ্রূণের মমি!
ঘটনাটি চিলির। সেখানকার এক ৯২ বছর বয়সী মহিলার কোমর ভেঙে গেছে। আত্মীয়স্বজনরা তাকে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে। কোমনে ব্যথার কথা চিন্তা করে চিকিৎসকরা এক্সরে সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় টেস্ট করতে দিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাধলো অন্যস্থানে। কারণ হাড় ভাঙ্গার খবর করতে গিয়ে খোঁজ মিললো ‘মমি’ ভ্রূণের! ‘এক্স-রে’ বিভাগের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন নাতিরা। রিপোর্ট হাতে নিয়ে ডাক্তার যা বললেন, তাতে পিলে চমকে উঠলেন সবাই৷
ডাক্তার জানালেন, ‘বৃদ্ধার কোমরের চোট তেমন গুরুতর কিছু নয়। কিন্তু তার শরীরে রয়েছে একটি মৃত ভ্রূণ! ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ২ কিলোগ্রাম ওজনের ভ্রূণটি বহন করছেন এই বৃদ্ধা! তার গর্ভে ৭ মাস বেড়ে ওঠার পর ভ্রূণটির মৃত্যু ঘটেছিল। তারপর ওই ভ্রুণটি জরায়ুর বাইরে চুনের মতো জমে যায়। এই ধরনের ঘটনায় তীব্র যন্ত্রণা হওয়ার কথা। কিন্তু ওই বৃদ্ধার কখনও ব্যথা অনুভূত হয়নি। সে কারণেই ভ্রূণের অস্তিত্বও টের পাননি তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চিলির এই বৃদ্ধার ‘হিপ’ এক্স-রে রিপোর্ট গত শুক্রবার প্রকাশ হওয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই ঘটনা বিরল। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ‘লিথোপেডিয়ন’ বলা হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় কোনও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করানোর জন্যই এতদিন ভ্রূণটির কোনো খোঁজ মেলেনি বলে চিকিৎসকরা দাবি করেছেন।
ওই মমি ভ্রূণকে সঙ্গী করেই সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গে হাসপাতাল হতে বাড়ি ফিরে গেছেন বৃদ্ধা। তিনি বলেছেন, ‘ও-তো আমাকে কোনও কষ্ট দিচ্ছে না, তাই অপারেশন করে বাদ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’ বৃদ্ধার এমন মন্তব্য সম্পর্কে পরিবারের তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়। তথ্যসূত্র: www.newsoxy.com