দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সতিত্বের অগ্নি পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক ধর্ষিতার মাথায় ৪০ কেজির পাথর! ভারতে গুজরাটে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। এই নির্মম ঘটনাটির সাক্ষী হয়ে আছেন গ্রামবাসী।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভারতের গুজরাটে একটি গ্রামধর্ষণের শিকার হন এক মহিলা। আবার শেষে ওই মহিলাকে পবিত্রতার প্রমাণ দিতে চড়া রোদে, খালি পেটে, ৪০ কেজির পাথর মাথায় নিয়ে হেঁটতে হয়েছে!
ওই গ্রামেরই এক যুবকের লালসার শিকার হয়েছিলেন ওই মহিলা। গ্রাম হতে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। গর্ভবতী হয়ে পড়ায় গর্ভপাতের অনুমতির জন্য গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। কিন্তু হাইকোর্ট তার আর্জি খারিজ করে দেয়। এরপরই মহিলা একটি সন্তানের জন্মও দেন। প্রসবের পর পরেই ওই সন্তানকে অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর মহিলা সংসারের সুখ পেতে স্বামীর কাছে ফিরতে চেয়েছিলেন। স্বামীও স্ত্রীকে ঘরে ফেরাতে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান।
কিন্তু বাদ সাধেন গ্রামের মোড়লরা। তাদের এক কথা, ওই মহিলা পবিত্র কিনা, তার জন্য অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে তাকে। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই গ্রামে তার জায়গা হবে। সেই পরীক্ষা হলো, মহিলার মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয় ৪০ কেজি ওজনের পাথর। সেই পাথর নিয়ে চড়া রোদে মাঠের এ প্রান্ত হতে ও প্রান্ত হেঁটে যেতে হবে। ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলে বা পাথর কোনওভাবে মাটিতে পড়ে গেলেই পরীক্ষায় ফেল প্রমাণিত হবে!
দুপুরের চড়া রোদে খালি পেটে ওই পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন মহিলা। গ্রামের মোড়লরা তাকে গ্রামে থাকার অনুমতি দিয়েছে।