দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কুমিরটি দেখছেন সেটি কোনো গভীর অরণ্যে নয়, মহা সড়কে জনসমক্ষে এমন একটি কুমির দেখে যে কেও বিস্মিত হবেন। কুমিরটি দেখো গেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর পাকা সড়কে।
যে কুমিরটি দেখছেন সেটি কোনো গভীর অরণ্যে নয়, মহা সড়কে জনসমক্ষে এমন একটি কুমির দেখে যে কেও বিস্মিত হবেন। কুমিরটি দেখো গেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর পাকা সড়কে। এক ব্যতিক্রমি প্রতিবাদ স্বরূপ মহা সড়কে এমন কুমির নামানো হয়। কুমিরটি জীবিত নয়, এটি কুমিরের মুর্তি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বেহাল রাস্তা নিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থায় পড়েছেন বেঙ্গালুরুবাসী। প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষায় রাস্তা ভেঙে চুরমার, এক বেহাল অবস্থা। ছোট-বড় গর্তে বোঝাই সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী মানুষ। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন। কিন্তু তারপরও নীরব প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তর আবেদন-নিবেদনেও কোনো ফল হয়নি।
আর তাই নিরুপায় হয়ে কর্তৃপক্ষের টনক নড়াতে এবার অভিনব কৌশল প্রয়োগ করেছে নগরোন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা প্রচারে উদ্যোগী একটি নাগরিক সংগঠন ‘নম্মো বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন’। রাস্তার অজস্র গর্ত মেরামতের দাবি জোরদার করতে শিল্পের আশ্রয় নিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাকা সড়কের ফাটলে কুমিরের মতো ভয়ংকর দর্শন প্রাণীর মূর্তি বসাতে উদ্যমী হন তারা।
এমন এক দৈত্যাকৃতি অ্যানাকোন্ডা সাপের মুর্তি সম্প্রতি বসানো হয় যশবন্তপুর এলাকার রাস্তার ফাটলে। শহরের বিখ্যাত চিত্রকলা পরিষদের স্নাতক পুষ্পরাজ মাত্র ২ দিনে তৈরি করেন গভীর অ্যামাজনের আতঙ্ক অ্যানাকোন্ডার মুখগহ্বর এবং দেহের কিছু অংশ। তারই ধারালো দাঁতের সারির ফাঁক হতে বেরিয়ে এসেছে মানুষের রক্তাক্ত হাত। এবার রাস্তার গভীর গর্তে বসানো হয়েছে বিকট দর্শন কুমিরের মূর্তিটি। দেখে মনে হবে যেনো এক জ্যান্ত কুমির! পথচারিরা প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়লেও পরে বুঝতে পারছেন প্রতিবাদের ভাষা। এমন প্রতিবাদের পর কর্তৃপক্ষের টনক কি আদতেও নড়েছে?