দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কুমিরের সঙ্গে মানুষের সখ্যতা খবর আমরা আগেও দেখেছি। কিন্তু কুমিরকে ‘মানুষ’ করে তোলা অর্থাৎ বাইক চালানে, কম্পিউটার শেখা সব কিছুই করছেন এক নারী!
এমন খবরে যে কেও বিস্মিত হবেন। কারণ হলো আমরা আগেও দেখেছি কুমিরের মতো ভয়ংকর জীবও মানুষের অনুগত থাকে। তবে এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। শুধু সখ্যতা নয়- জ্যাকেট পরে, ঘরে ঘুমোয়, বাইকে চড়ে, আবার রেস্তোরাঁয় যায়, মাঝে-মধ্যে চেয়ারে বসে ল্যাপটপেও চোখ বোলায় এই কুমির! তাও আবার কোনো অস্বাভাবিকতা নেই! সত্যিই যদি ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কুমির এমন করে, তাহলে সেটি কীভাবে? এমন এক অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন ফ্লোরিডার লেকল্যান্ডের বাসিন্দা ম্যারি থর্ন। একটি কুমিরকেই পোষ্য বানিয়েছেন তিনি। নাম দিয়েছেন র্যাম্বো। কুমিরটির বয়স ১৫। পানি থেকে শুধু ডাঙায় নয়, রীতিমতো হয়ে উঠেছে ম্যারি থর্নের পরিবারের একজন সদস্য! থর্নের চোখে র্যাম্বো এখন কুমির নয়, মানুষেরই মতোই। কারণ সে তাকে মানুষ হিসেবেই গড়ে তুলছেন।
তার এই পোষ্য কুমিরকে সঙ্গে রাখতে সাহায্যের জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে আবেদনও করেছিলেন তিনি। কারণ হলো থর্নকে কুমিরটির জন্য নতুন বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে বলেছে ফ্লোরিডা ওয়াইল্ডলাইফ কমিশন। এই কুমিরটিরই দৈর্ঘ্য একসময় হতে পারে ১১ ফুট পর্যন্ত। অস্বাভাবিক হারে বাড়তে পারে ওর ওজন।
কোনো অবস্থাতেই র্যাম্বোকে কাছছাড়া করতে চান না থর্ন। তার কাছে আরও ৩টি কুমির ছিল। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে ইতিমধ্যে ২টিরই মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র বেঁচে আছে র্যাম্বো।
এরপর হতে পরিবারের এক সদস্য হিসেবেই র্যাম্বোকে মানুষ করেছেন থর্ন। প্রশিক্ষণও দিয়েছেন সেই মতোই। যে কারণে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তাকে বিরক্ত না করে নিজের মতোই থাকে র্যাম্বো। শিশুদেরও সে যথেষ্ট ভালোবাসে- এমনটি জানিয়েছেন থর্ন। পরিবারের একজন ভালো সদস্য হয়ে উঠেছে এই কুমিরটি। যা সকলকে বিস্মিত করেছে।