দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিতর্ক তাড়া করছে মুক্তির দ্বারপ্রান্তে আসা ‘মুহাম্মদ (স:)’ সিনেমা। ইরানি চলচ্চিত্র ‘মুহাম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ মুক্তির আগেই নানা ভাবে বিতর্ক তাড়া করে চলেছে।
ইরানি চলচ্চিত্র ‘মুহাম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ মুক্তির আগেই নানা ভাবে বিতর্ক তাড়া করে চলেছে। ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যায়বহুল এই সিনেমাটি অবশেষে মুক্তির আলো দেখতে যাচ্ছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাজিদ মাজিদি।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে যে, পুরো সিনেমায় হযরত মুহাম্মদ (স:)- এর মুখ দেখানো না হলেও, একটি দৃশ্যে পায়ের নিকট হতে ক্যামেরা ধরা হয়েছে। যেখানে কিশোর মুহাম্মদ (স:)- এর চেহারার অবয়ব বেশ কিছুটা দেখা যাচ্ছে। তাতে করে বেঁধেছে বিপত্তি।
ইসলাম ধর্মে মহানবী (স:)-এর কোনো ধরনের শারীরিক চিত্রায়ন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। বিশেষ করে সুন্নি মুসলমানরা তা কঠোরভাবে মানেনও। শতকরা ৯৫ ভাগ শিয়া মুসলমানদের দেশ ইরানে প্রথমবারের মতো হযরত মুহাম্মাদ (স:) কে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘চিলড্রেন অফ হেভেন’ খ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদি এই চলচ্চিত্রে মহানবী (স:)-এর মুখ দেখাননি। সিনেমাটি আগামী ২৬ আগস্ট ইরানে মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ৩ পর্বের এই সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা মাজিদি হাতে নেন ২০০৭ সালে। প্রথম পর্ব নির্মাণে তার খরচ হয়েছে ৩ কোটি ডলার। সিনেমাটি নির্মাণে ইরান সরকারও সমর্থন দিয়েছে। এটিকে ইরানি সিনেমার জন্য ‘দৃষ্টান্তমূলক’ বলে অভিহিত করেছে ইরানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০০৬ সালে ডেনমার্কে হযরত মুহাম্মদ (স:) কে নিয়ে প্রকাশিত ব্যাঙ্গচিত্র নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলাকালীন একটি ড্যানিশ চলচ্চিত্র উৎসব বর্জন করেছিলেন মাজিদ মাজিদি।
ছবিটির ট্রেলার দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=2B98FBP6Vck