দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লম্বা ও খাটো মানুষদের নিয়ে আমাদের সমাজে রসিকতার শেষ থাকে না। বেশি লম্বা হলে যেমন পড়তে হয় বিড়ম্বনায় তেমনি বেশি খাটো হলেও বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। আজ এমন লম্বা ও খাটো ব্যক্তির কাহিনী রয়েছে।
লম্বা ও খাটো মানুষদের নিয়ে আমাদের সমাজে রসিকতার শেষ থাকে না। বেশি লম্বা হলে যেমন পড়তে হয় বিড়ম্বনায় তেমনি বেশি খাটো হলেও বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। আজ এমন লম্বা ও খাটো ব্যক্তির কাহিনী রয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে দুই বিপরিত ক্ষেত্রের দুজনের দেখা হয়েছিল। এই দুজনই আবার স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশ্ব বিখ্যাত। এদের মধ্যে একজন হলেন নেপালের চন্দ্র বাহাদুর ডাঙ্গি বিশ্বের সবচেয়ে খাটো মানুষ।
অপরদিকে পাহাড়ের মতো উচ্চতা তুরস্কের নাগরিক সুলতান কোসেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ। এতো লম্বা ও এতো খাটো মানুষকে নিয়ে তাই বিশ্ববাসীর যেনো আগ্রহের শেষ নেই। গত বছরের নভেম্বরে তারা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। আর তখন বেশ হৈ হৈ রৈ রৈ পড়ে যায় বিশ্বময়। তাদের এই ছবিটি তখন হতেই মানুষের কাছে এক বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুজনকে একসঙ্গে দেখে মানুষ আরও বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন তাদের নিয়ে।
এদের দুজনের মধ্যে সবচেয়ে খাটো মানুষ চন্দ্র বাহাদুরের দেহের উচ্চতা মাত্র ১ ফুট ৯.৫ ইঞ্চি (বা ৫৪.৬ সেন্টিমিটার)। আর সবচেয়ে লম্বা মানুষটি অর্থাৎ তুরস্কের নাগরিক কোসেনের উচ্চতা ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি (বা ২.৫১ মিটার)।
দুই বিপরিত মানুষের এমন একসঙ্গে হওয়া সত্যিই বিস্ময়ের বিষয় ছিল। তাই তাদের নিয়ে বিশ্বের অগণিত মানুষের মধ্যে আগ্রহের যেনো শেষ ছিল না। এই সুবাদে বিশ্বের মিডিয়াগুলোও যেনো মেতে ওঠে। তাদের নিয়ে শুরু হয় লেখা-লেখি। বিশ্বের টপ আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হয় এই দুই ব্যক্তি। তারা কিভাবে চলাফেরা করেন, কি খান, তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এমন নানা বিষয়গুলো তাদের কাছে জানার জন্য এগিয়ে যায় মিডিয়াকর্মীরা। তারা অনেকটা অস্থির হয়ে পড়েন মিডিয়ার দৌরাত্মে! তবুও তারা বিরক্তি প্রকাশ করেননি। বরং তারা বলেছেন, মিডিয়ার বদৌলতেই আমাদের এই উত্থান। তা না হলে কে আমাদের কথা জানতো? আর তাই কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন দুই বিখ্যাত খাটো ও লম্বা মানুষ।