দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের এক সময়ের খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রকে বিদায় জানালেন। বড়পর্দার নতুন কোনো সিনেমায় আর তাকে দেখা যাবে না।
এক সময়ের খ্যাতিমান অভিনেতা ও পরিচালক রাজ্জাক অবশেষে অভিনয়কে বিদায় জানালেন। বড়পর্দায় নতুন কোনো সিনেমায় তাকে আর দেখা যাবে না। ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়করাজ হিসেবে পরিচিত এই তারকাকে আর দর্শকরা দেখবেন না। শারিরীক অসুস্থতার জন্যই নিজেকে গুটিয়ে নিলেন রাজ্জাক। চিকিৎসকের পরমার্শেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তার ছোট ছেলে সম্রাট।
বর্তমান সময়ের ছবি ‘কার্তুজ’ অভিনেতা সম্রাট বলেন, ‘আব্বা অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। কিন্তু সিনেমায় অভিনয় তো তার রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে। যে কারণে তিনি একটু সুস্থ হলেই সিনেমায় অভিনয় করেন। কিন্তু ইদানিং তার শারিরীক অবস্থার প্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আমরাও তাকে বুঝিয়ে বলার পর তিনি আর সিনেমায় অভিনয় করবেন না বলে রাজি হয়েছেন।’
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা নায়ক আবদুর রাজ্জাক ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই ঢালিউডে অভিনয় করেন। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননাও। তিনি সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ৫ বার (১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৮)। ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র আজীবন সম্মাননা পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পান নায়ক রাজ রাজ্জাক।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে ‘আখেরি স্টেশন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রাজ্জাকের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। তারপর সালাউদ্দিন প্রোডাকশনসের ‘তের নাম্বার ফেকু ওস্তাগর লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক খ্যাতি পান রাজ্জাক। পরবর্তীতে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হন বাংলার চলচ্চিত্রে। তিনি প্রায় ৩০০ বাংলা এবং ঊর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও পরিচালনা করেছেন অন্তত ১৬টি চলচ্চিত্র।