দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট সারাবিশ্বে মেডিক্যাল ট্রেটমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যর্থ হলে এই ট্রান্সপ্লান্ট রোগীর জন্য শেষ ভরসা হয়ে দেখা যায়। মৃত অংঙ্গে অন্য শরীরের কোথাও থেকে সেল এনে কৃত্রিম উপায়ে পুষ্টি দিয়ে অঙ্গ বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। গবেষকরা এখন চেষ্টা করছেন এই উপায়ে সত্যিকারের ত্রিমাত্রিক কিডনি তৈরি করতে যা প্রতিস্থাপন করা যাবে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, বিজ্ঞানীরা একটি বড় সফলতা দেখিয়েছেন। গবেষণাগারে তারা কৃত্রিম কিডনি তৈরি করতে পেরেছেন। এই কিডনি তারা প্রাণিদেহে প্রতিস্থাপন করেন এবং পরীক্ষা করে দেখেন জীবন্ত প্রাণীর ক্ষেত্রে কি কি প্রতিক্রিয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল আশাপ্রদ। স্থানান্তরিত কিডনি বেশ ভালো ভাবেই কাজ করে। যে প্রাণীর দেহে কিডনি স্থাপন করা হয়েছিল সেটি বেশ ভালো ভাবেই স্বাভাবিক বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে এবং দেহের সেলের সাথে মিলে যায়। বিজ্ঞানীরা আশা ব্যক্ত করেন খুব শিঘ্রই, একই ভাবে তৈরিকৃতি অঙ্গ মানব শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে। যা অনেক সমস্যার সমাধান নিয়ে আসবে।
বর্তমানে হাজার হাজার মানুষ অংঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন। যার জন্য ডোনার প্রয়োজন হয়। যদি কোন ডোনার তার কোন অংঙ্গ দান করতে ইচ্ছা পোষণ করে তবেই অংঙ্গটি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। কিন্তু প্রকৃত অংঙ্গ দান করবে এরকম ডোনার খুবই কম সংখ্যক। এবং সবাই অংঙ্গ দান করতে পারবেন না। কেবল মাত্র মৃত ব্যক্তিই তার অংঙ্গ দান করতে পারেন। তাই কৃত্রিম অংঙ্গ প্রস্তুত করা সম্ভব হলে হাজার হাজার মানুষের উপকারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা এমন একটি ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার তৈরি করতে চাচ্ছেন যা দিয়ে সত্যিকার ভাবেই কিডনি প্রিন্ট করা যাবে। কিডনি প্রিন্ট করার আইডিয়াটি আসে মূলত প্রথমে কিডনির সেল এর মাধ্যমে লেয়ারে লেয়ারে হবে পরবর্তীতে সেগুলো কানেক্টেট করা হবে। কিডনির সাচে সেল কে বাড়তে দিয়ে এই কৃত্রিম কিডনি তৈরি করা হবে। কিডনির সেল বাড়তে বাড়তে তা কিডনির আকৃতি ধারণ করবে আর কিডনির কাজগুলো সম্পাদিত করতে পারবে। অর্গানিক এই কৃত্রিম কিডনির গবেষণাটি খুবই প্রাথমিক অবস্থায় আছে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল