দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভারে ভবন ধসের ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে চলছে ভারি যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধার অভিযান। আর জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এখন উদ্ধার হচ্ছে শুধু লাশ আর লাশ। গতকাল ৩ মে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ৪৬ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুধুই গলিত লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে ঘটনাস্থল থেকে। গতকালকের উদ্ধারের পর সাভার ট্র্যাজেডির মৃতের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে গেছে। আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বহু মানুষ সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে চলেছেন। এই অবস্থায় এই পোশাক শিল্প নিয়ে দেশের অর্থনীতিবিদরা বেশ শঙ্কিত। কারণ এতো বিপুল পরিমাণ মানুষের মৃত্যু এবং পঙ্গুত্ব বরণের কারণে এই সেক্টরে এক ধরনের অনীহা আসতে পারে। তাছাড়া বিদেশী বায়াররাও এই মানবিক বিষয়গুলো সব সময়ই বিবেচনায় এনে থাকেন। যে কারণে বার বার দুর্ঘটনার কারণে দেশের পোশাক শিল্প থেকে যে বিপুল পরিমাণ আয় হয় তার একটা ধস নামতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এখন পোশাক শিল্পের এই অচলাবস্থা নিরসনে সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অতিতে যা ঘটেছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের পোশাক শিল্পকে রক্ষা করতে হলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কতিপয় মালিক অতিরিক্ত মুনাফা করতে গিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থকে বার বার ভুলুণ্ঠিত করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতিতে এক ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।