দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় কত ম্যাসেজতো জায়গা অভাবে মুছে ফেলতে হয়। কিন্তু ভাবছেন এ কোন ভৌতিক দেশের নিয়ম এটি? মেসেজ মুছে দিলেই জেল!
সঙ্গীকে ক্ষণে ক্ষণে একান্ত বার্তা পাঠান কিংবা ভালবাসার প্রস্তাব পাঠান সহকর্মীকে। অথবা মোবাইল অ্যাপের মেসেজিংয়েই কি সেরে ফেলেন খুব গোপনীয় বিজনেস ডিল? এ সব বার্তাই আবার মুছে দেন? কিন্তু এসব ম্যাসেজ ডিলিট করার কথা ভুলে যান। আর যদি করেও থাকেন তাহলে আপনার রেহায় নাই! সোজা জেল। নাগরিকদের এসব গোপন মেসেজ পড়তে পারবে সরকার। নব্বই দিন পর্যন্ত ডিলিট করা যাবে না এ ধরনের অ্যাপের কোনও রকম মেসেজ। এমনই নীতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। প্রস্তাবিত এমন নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক।
মূলত নাগরিকদের গোপন বার্তায় নজরদারি চালাতে নয়া নীতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতর।
প্রস্তাবিত নয়া নীতিতে রয়েছে ব্যক্তিগত বার্তায় সরকারি নজরদারি হোয়াটস অ্যাপ, হ্যাঙ আউট, স্ন্যাপ চ্যাট, ই-মেল ও আই মেসেজ পড়তে পারবে সেদেশের সরকার। ৯০ দিন ডিলিট করা যাবে না কোনো মেসেজ। আবার চাইলে মেসেজ পড়তে দিতে হবে নিরাপত্তা এজেন্সিকে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে মেসেজ ডিলিট করে দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি জেলও হতে পারে।
এই নয়া নীতি নিয়ে সব নাগরিকের মতামত চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর ২০১৫-র মধ্যে মতামত জানাতে হবে নাগরিকদের। কিন্তু এমন একটি নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। শেষ তক কি হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।