দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ ইচ্ছে করলে কিই না পারে! একটি হাত নেই তারপরও মেয়েটির হ্যাভি ওয়েটিং কসরত থেমে নেই! ভিডিওটি দেখলে আপনিও বিস্মিত না হয়ে পারবেন না।
আমরা হাত-পা সব ঠিক-ঠাক থাকার পরও অলসতা করি। সঠিক কাজটি সঠিক সময় করতেও আমরা গড়িমশি করে থাকি। কিন্তু এই মেয়েটি একেবারেই ব্যতিক্রম। জীবন চলার পথে তিনি একটি হাত হারিয়েছেন। এক হাতের ওপর ভর করে সব স্বাভাবিক কাজ তো করেন। সেই সঙ্গে তিনি হ্যাভি ওয়েটিং এর মতো ভারি ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে সাবলিলভাবে কসরত করছেন। ভিডিওটি দেখলে আপনার কাছে সত্যিই আশ্চর্য মনে হবে। তবে আসল ঘটনা হলো ইচ্ছে থাকলে যে কেও সবকিছু করতে পারে।
ক্রিস্টাল কান্টু। টেক্সাসের বাসিন্দা। বয়স হবে ২৫ বছর মতো। সফল IT কেরিয়ার থাকার পরেও, বরাবরই এই কন্যা ক্রসফিট স্পোর্টসের অনুরাগী। বলা চলে, জিমন্যাস্টিক এবং ওয়েটলিফটিং ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। সবকিছু ঠিকঠাকই চললেও একদিন তার জীবনে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। বছর দুয়েক আগে আগস্ট মাসে হঠাত্ই চরম বিপর্যয় নেমে আসে তার জীবনে। সান অন্টানিওতে গাড়িতে চড়ে তিনি বেড়াতে যান। গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন তারই বয়ফ্রেন্ড ড্যানিয়েল কুয়েট। হঠাত্ই গাড়ির একটি টায়ার ফেটে মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয় তাদের। ড্যানিয়েল রক্ষা পেলেও গুরুতর চোট লাগে ক্রিস্টালের। কঠিন অপারেশনের পর তার জ্ঞান ফেরে ঠিকই। কিন্তু চিকিৎসকরা ক্রিস্টালকে জানান, কোনও উপায় ছিল না আর। তার ডান হাতের বেশিরভাগটাই কেটে বাদ দিয়ে দিতে হয়। কথাগুলো শুনে পায়ের তলা হতে মাটি সরে গিয়েছিল ক্রিস্টালের। শরীরের আঘাতের থেকেও অনেক বেশি অনুভূত হয়েছিল মানসিক যন্ত্রণা। তবে শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন তিনি। চলেছেন স্বাভাবিকভাবে।
হাসপাতাল হতে বাড়ি ফেরার পর মাত্র কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার তিনি স্বাভাবিক কাজ-কর্ম শুরু করেন। তারমধ্যে তার সখের জিমন্যাস্টিংও রয়েছে। দেখুন এক হাতে সেই ভারি যন্ত্রপাতির কারবারগুলো। ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন পুরোটা।
দেখুন ক্রিস্টালের ভিডিওটি