দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি আবার কখনও ভুতুড়ে হতে পারে? এই প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু ঠিক তাই ভুতুরে গাড়ি। আজ আপনাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি ভূতুড়ে গাড়ির গল্প!
আমরা টয়োটা, মার্সিডিজ, লিমুজিনসহ কত রকম গাড়িই না দেখেছি। কিন্তু এমন গাড়ি দেখিনি বা শুনিনি আর তা হলো ভুতুড়ে গাড়ি। এসব গাড়ির একটি দিক রয়েছে আর তা হলো এই গাড়ির চালক লাগে না, নিজ থেকেই চলতে পারে। কেবল চলতে না ধাক্কা লাগিয়েও দিতে পারে যে কাওকে। শুধু তাই নয়, এই গাড়ি আবার লাফিয়ে লাফিয়ে প্রকাশ করতে পারে নিজের উৎফুল্লতা! এর কারণ কি? এর কারণ হলো ভূত! এমন কিছু ভূতুড়ে গাড়ির গল্প রয়েছে আপনাদের জন্য।
একা একাই চলে এমন গাড়ি
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এক দম্পতি থাকতেন সাউথ আফ্রিকার কেপ টাউনে। তাদের বাড়িতে হঠাৎ করেই বেড়াতে আসেন খুব কাছের আরেক বন্ধু দম্পতি। তারা আসেন নিজস্ব গাড়ি নিয়ে। যখন প্রথম আসেন তখন মাঝরাত হবে। সবাই খেয়ে-দেয়ে ঘুমিয়েও পড়েছেন। আচমকা একটা প্রচণ্ড গর্জনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো ওই দম্পতির। জানালা খুলে বাইরে তাকিয়েই দেখতে পেলেন বেড়াতে আসা বন্ধুদের রেনাল্ট গাড়িটিকে।
ওই গাড়িটি প্রচণ্ড শব্দ করে গর্জাচ্ছে আর এলোপাথারি ছুটে গিয়ে ভেঙে দিচ্ছে সব গাছ-পালাকে! প্রথমে তারা ভাবেন কেও গাড়ি চুরি করছে। তাই তারা পুলিশে ফোন করেন। ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে যান গাড়ির কাছে। তবে আশ্চর্য হন এই দেখে যে, চলন্ত গাড়িটিতে তখন কেও ছিলনা!
পরে পুলিশ এলো কিন্তু তারাও কোনো সূত্র বের করতে পারলেন না এই গাড়ি রহস্যের। অবশ্য পুলিশের সামনে তখন একেবারে থেমে গিয়েছিল গাড়ি। কিন্তু পুলিশ যেতে না যেতেই আবার গর্জন করে উপরে নীচে লাফাতে থাকে ওই গাড়িটি। বাধ্য হয়ে খুব দ্রুতই ওই গাড়িটিকে বাতিলের খাতায় ফেলতে হয় এর মালিককে।
ভলগা লিমুজিন মৃত্যুদূত?
ভলগা লিমুজিন গাড়ি। স্নায়ু যুদ্ধের সময়কার কথা। হঠাৎ করে একদিন উদয় হলো এক ভলগা লিমুজিন। কালো রং এর এই গাড়িটি কোথা থেকে আসলো, কোথায়ই বা যেতো কেও কিছুই জানেনা। তবে এই গাড়ির সামনে পড়লে যে আর কারও রক্ষা নেই সেটি সবাই খুব ভালো করেই জেনে গেলো। আর তাই পারতপক্ষে কেও এই গাড়ির ধারে কাছে ঘেষতে চাইতেন না- বিশেষ করে শিশুরাতো নয়ই।
তানাহলে মৃত্যুকে নিশ্চিতভাবে বরণ করে নিতে হতো। এখন পর্যন্ত অনেক অনুসন্ধান করেও ঠিক জানা যায়নি এই রহস্যময় গাড়িটির আসল মালিক ও তার পরিচয়। কেও বলেন শয়তান চালাতো গাড়িটি, আবার কেওবা কোন পুরোহিত বা নানের ওপর দোষটা চাপিয়ে দিতো।
আরেক অভিশপ্ত গাড়ি
দ্য গ্রাফ এন্ড স্টিফট অটোমোবাইল কোম্পানির কাহিনী এটি। একটা সময়, বিশেষ করে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের আগে বেশ সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি ছিল এই কোম্পানির। কিন্তু সবার দিন কী কখনও সমান যায়? তেমনি দিন একদিন বদলে গেলো এই প্রতিষ্ঠানেরও। সেটিও ঘটলো এই কোম্পানিরই এক গাড়ির ওপর। গাড়ির ওপর বসে থাকাবস্থায় আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ নামে এক ব্যক্তি মারা গেলেন।
স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি তার। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ওই আর্চডিউক। যে কারণে পৃথিবীতে তো বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েই যায়ই, তাই অভিশপ্ত হয়ে যায় গাড়িটিও। আর্চডিউকের পর এই গাড়িটি হাতবদল হয় অন্তত ১৫ জন মালিকের। যাদের ভেতরে মারা পড়েন অন্তত ১৩ জন।
আবার এই ১৩ জন বাদেও বেশ কিছু মানুষকে হত্যা করে এই অভিশপ্ত গাড়িটি। বিশেষ করে সর্বশেষ গাড়িটির মালিক রোমানিয়ার এক ভদ্রলোক মারা যান নিজের বিয়েতে। বিয়ে করতে যাওয়ার সময় ৫ বন্ধুসহ মারা যান, গাড়িটি হঠাৎ করে বিগড়ে যাওয়ায়। এই অভিশপ্ত গাড়িটি বর্তমানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার এক জাদুঘরে।