দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। বিজ্ঞানীরা এবার মানুষের মস্তিষ্কের ভাঁজের সঙ্গে দৃষ্টিভ্রমের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা ১শ’ ৫৩টি মস্তিষ্ক স্ক্যান করে গবেষণার পর দেখেছেন, মস্তিষ্কে সামনের অংশের ভাঁজ স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের দৃষ্টিভ্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। দৃষ্টিভ্রম হয় এমন রোগীদের মস্তিষ্কের সামনের অংশের ভাঁজ স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় ছোট দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্তিষ্কের সামনের অংশ এমন একটি এলাকা যেখানে বাস্তবে দেখা দৃশ্য আর কল্পনার মধ্যে বেশ পার্থক্য সৃষ্টি করে। গবেষণায় পাওয়া এমন তথ্য আগে হতে রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। জন্মের ঠিক আগ মূহুর্তে মানুষের মস্তিষ্কে এমন ভাঁজ দেখা যায় যেটি বিজ্ঞানীদের ভাষায় বলা হয়ে থাকে প্যারাসিঙ্গুলেট সাকলাস অথবা সংক্ষেপে পিসিএস। এই ভাঁজের আকার ব্যক্তিভেদে পৃথক হয়।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের স্নায়ুবিজ্ঞানী জন সিমন্স বলেছেন, ‘যদিও এটি জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণ তৈরি হয় না, তবে এটি এমন এক অঞ্চল যাতে বিশেষভাবে লক্ষণীয় কোনো ভাঁজ থাকুক বা নাই থাকুক, অঞ্চলটি জন্মের সময় মস্তিষ্কে থাকে। যদি কেও এই বিশেষ লক্ষণ নিয়ে জন্ম নিয়ে তাকে যে, তার এই ভাঁজ ছোট, তবে জীবনের পরবর্তীতে তাদের দৃষ্টিভ্রমে ভোগার প্রবণতা থেকে যায়।’
জন সিমন্স আরও বলেন, স্কিৎজোফ্রেনিয়া হলো একটি জটিল বিষয়। দৃষ্টিভ্রম এটির একটি অন্যতম উপসর্গ মাত্র। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এটি তাদের অনিয়মিত কল্পনা বা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান স্কিৎজোফ্রেনিয়া রিসার্চ ব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করে এই বিষয়টির গবেষণা চালান ড. সিমোন্স ও তার সহকর্মীরা। ১১৩ জন স্কিৎজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত মানুষ ও ৪০ জন স্বাভাবিক মানুষ, মোট ১শ’ ৫৩ জনের মস্তিষ্কের এমআরআই স্ক্যান করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।