দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা পরামর্শ দিয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা আরও দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি ঠেকাতে মাংস খাওয়া কমানোর জন্য।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে ‘চেইঞ্জিং ক্লাইমেট, চেইঞ্জিং ডায়েটস: পাথওয়েস টু লোয়ার-মিট কনজাম্পশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে চ্যাথম হাউজ বলেছে যে, ‘অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার এই বিপদ সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে চিহ্নিত করা গেলে সেটি জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ‘বড় ভূমিকা’ রাখতে পারে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘সেটি না পারলে বৈশ্বিক উষ্ণতার বিপদসীমা অতিক্রম ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
৩০ নভেম্বর বসছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’ বা কপ এর এটি ২১তম সম্মেলন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সম্মেলন ঘিরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যতোটা গুরুত্ব পাচ্ছে, ২০০৯ সালের কোপেনহেগেন সম্মেলনের আগে তা কখনও পায়নি।
বিবিসি বলেছে যে, কার্বন নিঃসরণ কমাতে আন্তর্জাতিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং পরিবহন খাত এই সম্মেলনকে ঘিরে গুরুত্ব পেলেও গবাদিপশু খাতের বিষয়টি আড়ালেই রয়ে যাচ্ছে। অথচ বিশ্বের মোট গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রায় ১৫ শতাংশ গবাদিপশুর কারণেই নিঃসরিত হয়ে থাকে, যেটি সব গাড়ি, ট্রেন, জাহাজ এবং উড়োজাহাজের নিঃসরিত মোট গ্যাসের প্রায় সমান হয়ে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরেই উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়নকেই দায়ী করে আসছে। দূষণের ভয়াবহ ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য দূষণকারী দেশগুলোর নিকট হতে ক্ষতিপূরণের দাবিও করে আসছে এসব উন্নয়নশীল দেশগুলো।
চ্যাথম হাউজের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দূষণের মতো মাংস খাওয়ার দিক দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৫০ গ্রাম মাংস খান দেশটির প্রত্যেক নাগরিক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে যেটি প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় চারগুণ!