দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১২ বছরের মেয়ের মাত্র ৩ বছরে ২১ বার বিয়ে হওয়ার ঘটনা ঘটেছে! যারাই তাকে বিয়ে করেছে তারাই কিছুদিন পর আবার তাকে ছুড়ে ফেলেছে।
এমন কথা আগে হয়তো কখনও শোনা যায়নি। শিরিন নামে একটি মেয়ে যার বয়স মাত্র ১২ বছর। ৩ বছরে তার বিয়ে হয়েছে ২১ বার। সবাই কিছুদিন তাকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলেছে। কোনো স্বামীর কাছেই তার আবাস স্থায়ী হয়নি।
এই গল্পটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার। ভয়ঙ্কর আর অমানবিক এমন সব গল্প তৈরি হয়েছে সিরিয়াতে। কেবল জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের ভয়াবহতার বিষয়গুলো মিডিয়ায় এলেও পশ্চিমা বিশ্ব বা অন্য দেশগুলোর তৈরি নানা রকমের অমানবিক গল্পগুলো অজানাই থেকে যায়।
সেখানে আইএস কিংবা আসাদকে উচ্ছেদের নামে ত্রিমুখী যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিগত ৪ বছর ধরে দেশটিতে আসাদ সরকারকে সরানোর উসিলায যুদ্ধ করছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ অন্তত ৬০টি দেশ। এদের নৃশংসতার শিকার হচ্ছে কোটি কোটি মানুষ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে যুদ্ধের কারণে নিহত হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। দেশ ছেড়ে পালিয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ।
সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে নেমে এসেছে তীব্র দরিদ্রতা। যারা সেখানে রয়ে গেছেন তারা খাবার এবং অর্থ সংকটে তারা নানা রকম অমানবিক কাজ করছেন। শিরিন নামের ওই মেয়েটির ভাগ্যে ঠিক এমন ঘটনায় ঘটেছে। প্রথমে দারিদ্রতার কারণে শিরিনের বাবা ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিয়ে দেন এক ধনি ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি কিছুদিন তাকে রেখে আবার অন্যজনের কাছে বিয়ে দিয়ে দেন। এভাবেই শিরিন বিয়ের নামে বিক্রি হয়েছে অন্তত ২১ বার!
প্রথমে যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। আর এখন তার বয়স হয়েছে ১৫ বছর। এখনও সে জানেনা, আরও কতোবার বিয়ের পিড়িতে তাকে বসতে হবে। তাদের নিয়ে আর কতদিন চলবে এই অমানবিক খেলা? তা কেও জানে না। নাকি বছরের পর বছর এভাবেই অমানবিকতার শিকার হতে হবে?