দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিন্দু ধর্মে শোনা যায় পুনর্জন্মের কথা। তবে এবার মার্কিনীদের মধ্যে এমন ধরনের কথা শোনা গেলো। সেখানকার এক বালকের জাতিস্মর বা পুনর্জন্মের বর্ণনা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলো!
জাতিস্মর বা পূর্বজন্ম মনে রাখার অলৌকিক ক্ষমতা নাকি থাকে। এতোদিন আমরা শুনে আসছি হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের মধ্যে এই পুনর্জন্মের কথা। কিন্তু এবার শোনা গেলো মার্কিনীদের মধ্যেও রয়েছে এই পুনর্জন্মের কথা। প্রায় ২০ শতাংশ মার্কিনী এই পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন। জাতিস্মরদের অস্তিত্ব মেনে নেওয়া মানে পূর্বজন্ম ও পুনর্জন্মে বিশ্বাস করা। যারা জাতিস্মরদের সন্দেহের চোখে দেখেন তারা বলেন যে, এই পূর্বজন্ম মনে রাখা স্বপ্ন ছাড়া বাস্তব কিছুই নয়। তবে অনেক বৈজ্ঞানিক বলেন, পুনর্জন্মকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণ করা নাকি সম্ভব। পৃথিবীর বহুস্থানে ছোট শিশুরা নিজেদের জাতিস্মর হিসাবে ঘোষণা করে। এদের বয়স সাধারণত ২ হতে ৫ বছর হয়। অনেক সময় এরা বা এদের ব্যবহারে, একরকম ভীতি প্রদর্শন করে। দেখা যায় যে, ওই শিশুদের পূর্বজন্ম সংক্রান্ত বক্তব্যে ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এমনই একটি ঘটনা অনলাইন মাধ্যমগুলোত পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঠিক এমন- আর পাঁচটা শিশুর মতোই খেলনা এরোপ্লেন ভালবাসতো জেমস নামে এক বালক। এই শিশু একদিন মাকে অবাক করে দিলো। ৩ বছর বয়সে আদো আদো স্বরে বললো, প্লেনে বোমাও বেঁধে নিয়ে যাওয়া যায়! কিছুদিনের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলো সে।
রাতে ঘুমের মধ্যে সে দেখতো যুদ্ধবিমান চালানোর স্বপ্ন। ভেসে আসতো বোমা-গুলির কানফাটানো শব্দ! কয়েক বছর ধরে একই জিনিস চলার পরে জেমস লেইনিঙ্গারকে মনোবিদের কাছে নিয়ে গেলেন তার বাবা-মা। চিকিৎসকরা জানালেন, খুদে জেমস একজন জাতিস্মর। এই মার্কিন খুদের কথামতো আগের জন্মে সে ছিল মার্কিন নৌসেনা। সে কর্মরত ছিল নাতোমা নামে এক রণতরীতে।
ঘটনাটি সত্যি কিনা তা জানতে জেমসের বাবা খোঁজ করে সেই রণতরীর সন্ধানও পেলেন। জেমস বলতো আগের জন্মে সে ছিল জেমস হিউস্টন। সহকর্মী জ্যাক লারসনকে নিয়ে নাকি উড়ে গিয়েছিল প্রশান্ত মহাসগারের উপর দিয়ে। জাপানি সেনারা তার বিমানকে গুলি করে নামায় লৌ জিমা এলাকায়।
এবার তাই ঘটলো, সবাইকে অবাক করে দিয়ে সামনে এলো নাতোমা নামের রণতরীতে সত্যি কর্মরত ছিলেন জেমস হিউস্টন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি সহকর্মী জ্যাক লারসনকে নিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়েই। জাপানি সেনা সেই বিমান গুলি করে নামায় লৌ জিমায় সেটিও সত্যি!
তখন নিহত হন জেমস। বেঁচে যান তার সহকর্মী জ্যাক। জীবিত অবস্থায় অবশেষে খুঁজেও পাওয়া যায় তাঁকে। শুধু তাই নয়, সন্ধান মেলে জেমসের বোনেরও। তার কাছে গিয়ে দেখা যায়, শুধু নামেই নয়, জাতিস্মর বালকের সঙ্গে চেহারাগত সাদৃশ্যও রয়েছে তার ভাইয়ের!
উল্লেখ্য, এতো দালিলিক প্রমাণের পর বালক জেমস লেইনিঙ্গারের ঘটনাকে পূর্বজন্ম বা পুনর্জন্মের প্রামাণ্য ঘটনা হিসেবেই স্বীকৃতি দিলেন মনোবিজ্ঞানীরা। বাস্তবে এটি সম্ভব এমন স্বীকৃতি পেলো জাতিস্মর বা পুনর্জন্ম বিষয়টি।