দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতির ভয়ে বাঁচতে লোকালয়ের বাসিন্দারা ঘর বানিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন গাছে। অভিনব এই ঘটনাটি ঘটেছে মিয়ানমারের কেয়াত চুয়াং শহরতলিতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বনের হাতি খাবারের খোঁজে বারংবার চলে আসছে লোকালয়ে। চালাচ্ছে নানারকম তাণ্ডব। মিয়ানমারের কেয়াত চুয়াং শহরতলিতে হাতির এই তাণ্ডব হতে বাঁচতে লোকালয়ের বাসিন্দারা ঠাঁই নিয়েছেন গাছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, ১৯৯০ হতে ২০১০ সালের মধ্যে মিয়ানমারে প্রায় ২০ শতাংশ বনভূমি কমে গেছে। এতে করে ক্রমেই বাসস্থান হারাচ্ছে হাতির দল। সে কারণে দেখা দিচ্ছে বন্যহাতির খাবারের প্রকট সংকট। তাই খাবারের খোঁজে ক্ষুধার্ত হাতি দলবেঁধে লোকালয়ে চলে আসছে। তাদের পায়ের নিচে নষ্ট হচ্ছে ফসলের খেত, বসতবাড়ি, মারা পড়ছে বহু মানুষ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কেয়াত চুয়াং শহরতলির খুব নিকটেই বন। সেখানে অনেক হাতির বাস। বনে খাবার না পেলে তারা শহরতলির জনপদে চলে আসছে অকাতরে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন ঘটছে এমন ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে ঘুম হারাম এলাকার বাসিন্দাদের। জীবন বাঁচাতে লোকালয়ের বিভিন্ন গাছে বাঁশ এবঙ কাঠ দিয়ে ঘর বানিয়ে নিচ্ছে এলাকাবাসী। যখনই হাতির পালের লোকালয়ে আসার পদধ্বনি পাচ্ছে বাসিন্দারা, তখনই গাছের ওপরের ওই বাসায় আশ্রয় নেয় বাসিন্দারা।
এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘নিরাপত্তার জন্য আমাদের ঘর-বাড়ি হয়তো গাছের ওপরই সরিয়ে নিতে হবে বলে মনে হচ্ছে।’ এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে বনের হাতিদের এমন অত্যাচার চলে আসছে। তারা এ থেকে পরিত্রাণ চায়। কোনো রকম আতঙ্ক ছাড়াই নিজের ঘর-বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করতে তারা। আর তাই গাছের উপর ঘর বানিয়ে জীবন বাঁচানোর মতো পথ তারা বেছে নিয়েছেন।