দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চাঞ্চল্যকর নারায়ণগঞ্জের ৫ খুনের ধৃত আসামী মাহফুজ একাই ৫ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার রাতে বাবুরাইল এলাকা হতে তাসলিমা, তার ছেলে শান্ত এবং মেয়ে সুমাইয়া, ভাই মোরশেদুল ওরফে মোশারফ ও জা লামিয়ার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদেরকে মাথায় ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে এবং কয়েকজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ৫ খুনের ঘটনায় ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থল হতে মাহফুজকে আটক করে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মাহফুজ ওরফে ভাগ্নে মারুফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে মামি তাসলিমা বেগমসহ পরিবারের ৫ জনকে তিনি একাই হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফ ১৬৪ ধারায় তার এই জবানবন্দী গ্রহণ করেন। জবানবন্দীর সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই আবুল খায়ের জানিয়েছেন, আদালতে মাহফুজ নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। কীভাবে সে এই ৫ জনকে হত্যা করেছে তার বর্ণনাও দিয়েছেন।
তার জবানবন্দী শেষে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন যে, মাহফুজ ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে ৫ খুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি মামি তাসলিমাসহ ৫ জনকে একাই খুন করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এর আগে মাহফুজকে গত সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত হতে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসায় একই পরিবারের ৫ জনকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।