দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫ মে রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে নানাভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় লাশের স্তুপের ছবি। কিন্তু চ্যানেল আই-এর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই স্তুপাকারের মানুষগুলো ঘুমিয়ে ছিল, পুলিশ আসার পর উঠে দৌড় দিচ্ছে।
৫ মে দিনভর হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, পুরানাপল্টন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ ওই এলাকাটি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
এরপর গভীর রাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি’র যৌথ অভিযান চালিয়ে শাপলা চত্ত্বর থেকে হেফাজতকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু গভীর রাতে এবং অন্ধকার অবস্থায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলে, সেহেতু সাধারণভাবে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। বিরোধী দল বিএনপি বলেছে, ‘আড়াই হাজার মানুষ মারা গেছে- শত শত লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’ এমনকি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ‘ট্রাক ভর্তি করে লাশ পিলখানায় নিয়ে গেছে বিজিবি’। আরও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ‘বহু লাশ পড়ে আছে স্তুপাকারে’ এমন ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মতিঝিলের ওই রাতে কি তাই ঘটেছিল?
সবার মনেই এমন অনেক প্রশ্ন দানা বেধেছে। আসলে আমাদের দেশের রাজনীতিটাই একটা ‘ভেক পয়েন্টে’র মধ্যদিয়ে চলে। সরকারে থাকলে এক নীতি আর বিরোধী দলে থাকলে আরেক নীতি! যেমন- এক সময় আওয়ামীলীগ আন্দোলন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির জন্য। তখন বিএনপি এটিকে পাত্তা দেয়নি। আর আজ বাস্তবতার নিরীখে দেখা যাচ্ছে সেই বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করছে।
লাশ নিয়েও আমাদের দেশে এমন অনেক ঘটনায় ঘটে। বিরোধীরা একটি লাশ পেলে সেটি নিয়ে রাজনীতি করতে চান। ৫ মে রাতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর যে আক্রমণ পুলিশ করেছে সেটি কেওই সমর্থন দেয়না আমরাও দেইনা। কিন্তু সেদিন হাজার হাজার লাশ পড়েছিল এমন বক্তব্য কি ঠিক? কারণ সেখানে টিভি চ্যানেলসহ বিদেশী বহু সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। টিভির এতোগুলো ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দেওয়া কি সহজ?
চ্যানেল আই-এর এমন একটি ভিডিও আপনাদের জন্য দেওয়া হলো। যে ভিডিওটি দেখলে প্রথমে মনে হবে লাশের স্তুপ পড়ে আছে। কিন্তু পুলিশ আসার পর সেই ‘লাশগুলো উঠে দৌড় দিল’, আশা করি যারা এই ভিডিওটি দেখবেন তারা বুঝতে পারবেন।