দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন এক সফটওয়্যার যেটি পাচার হওয়া শিশুদের উদ্ধার করতে সাহায্য করবে! দক্ষিণ এশিয়ার দাতব্য সংস্থাগুলো পাচার হওয়া শিশুদের উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনতে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে।
সংবাদ মাধ্যম অনলাইন দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড খবরে জানা যায়, বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের ১০টি দাতব্য সংস্থা এমনই একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং নেপালের মতো দেশ হতে যেসব শিশুকে ভারতে পাচার করা হয়েছে কিংবা যাদেরকে জোর করে দাসত্বে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেসব শিশুকে উদ্ধারের জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সংবাদে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান মানবপাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত কেন্দ্রীয় স্থান। বিশ্বে যতো মানুষ পাচার হয় সে হিসেবে মানব পাচারের দিক দিয়ে ভারত দ্বিতীয়। এসব শিশুকে উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, উদ্ধারের পর শিশুদের তার দেশে ফেরত পাঠানো তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে কয়েক বছরও সময় লাগতে পারে।
সংস্থাটি বলছে, পাচার হওয়া শিশুর পরিচয় এবং তার জন্মস্থান সনাক্ত করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এজন্য যে সফটওয়্যার বানানো হয়েছে তাতে পাচার হওয়া শিশুর নাম, ছবি এবং জন্মস্থান থাকবে। এই ডাটাবেজ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিনিময় করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই ডাটাবেজটি তৈরি করেছে প্লান ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশী সামাজিক প্রতিষ্ঠান ডিনেট মিসিং চাইল্ড এলার্ট। যখন এই ডাটাবেজে উদ্ধার হওয়া শিশুর তথ্য যুক্ত করা থাকবে তখন ওই শিশু যে দেশে জন্মেছে সেই দেশের এজেন্সিগুলো তখন দ্রুততার সঙ্গে সতর্ক হবে। বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের ১০টি দাতব্য সংস্থা এই প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত।
প্লান ইন্ডিয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিচালক মোহাম্মদ আসিফ বলেছেন, আমরা দেখেছি উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ৩ বছর সময় লেগে গেছে। এতো লম্বা সময় তাকে আটক থাকতে হয় আশ্রয় শিবিরে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় শহর শিলিগুঁড়িতে মানব পাচার বিরোধী একটি সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন। এই নতুন সফটওয়্যার- এর মাধ্যমে পাচার হওয়া শিশুদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজতর হবে।