দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের কাহিনী আমাদের অনেকের জানা। তবে এবার সেই গল্পের বই নয়, বাস্তবে উঠে এসেছে সেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের রহস্য নাকি সমাধান হতে চলেছে!
আমরা জানি বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল এক দুর্ভেদ্য রহস্যের নাম। প্রযুক্তির উৎকর্ষে বিশ্ব বহুদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের রহস্যের কিনারা করতে পারেনি কেও। তবে এবার যুক্তরাজ্যে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল রহস্যের সমাধান করার বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়ের গবেষকরা উত্তর মেরুর ব্যারেন্টস সাগরের তলদেশে বেশ কিছু বড় গর্তের সন্ধান পেয়েছেন। আর্কটিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, এই গর্ত বা আগ্নেয়গিরির মুখগুলোর ব্যাস ৩ হাজার ২৮০ ফুট এবং গভীরতা ১৩১ ফুট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। থ্রিডি সিসমিক ইমেজিং পদ্ধতিতে এই গর্তগুলো শনাক্ত করেছেন গবেষকরা।গবেষকরা এও বলেছেন, তেলের খনি হতে সৃষ্ট উচ্চ চাপের মিথেন গ্যাসের উদগীরণে এই গর্ত সৃষ্টি হতে পারে।
সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আবিষ্কারের ঘটনা বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল নামের বিতর্কিত ওই এলাকায় জাহাজ এবং বিমান হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে ২০১৪ সালে সাইবেরিয়ান টাইমসকে দেওয়া রাশিয়ার এক গবেষক ভ্লাদিমির পোতাপভের এক সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।
উল্লেখ্য, পোতাপভের তত্ত্ব অনুযায়ী, মিথেন গ্যাসের উদগীরণ সমুদ্রকে উত্তপ্ত করে ফেলে। মিথেনযুক্ত পানির কারণেই জাহাজ ডুবে যায়। তাছাড়া বায়ুমণ্ডলে বিশেষ পরিবর্তনের কারণে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।