দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনো কিছুই ফেলনা নয়। ফেলে দেওয়া বোতল থেকেও হতে পারে অনেক কিছু। যেমন হয়েছে মেক্সিকোর কানকুনে। সেখানে ফেলে দেওয়া বোতলের ওপরে ভাসছে একটি দ্বীপ!
যতো আধুনিক যুগ আসছে ততোই বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। প্রতিনিয়ত আমরা নানাভাবে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করি আবার সেগুলো ফেলেও দিই। এই ফেলে দেওয়া বোতল সাগারে স্থুপ আকারে জমতে জমতে বিশাল স্তুপে পরিণত হয়। যেমন কোথাও কোথাও এতোবেশি যে, সেগুলো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এমন চিন্তা থেকে মাথায় আসতে পারে এই বোতলের স্থুপের উপর যদি একটি আস্ত দ্বীপ ভেসে থাকে?
বিষয়টি আসলে অসম্ভব শোনালেও সেটি সম্ভব করেছেন এক বৃটিশ শিল্পী। মেক্সিকোর কানকুনে তিনি তৈরি করেছেন জয়ক্সি নামে একটি দ্বীপ। খুব ছোট্ট একটি দ্বীপ এটি। অনেকটা এমন যে, পানির ওপর ভাসমান এক টুকরো স্বর্গ!
মেক্সিকোর কানকুন রিসোর্টের খুব নিকটে অবস্থিত এই দ্বীপটি। তবে এই দ্বীপটি বড়ই অদ্ভূত। গাছপালা, ছোট ছোট ঘরসহ এই দ্বীপটি ভাসছে পরিত্যক্ত পানির বোতলের ওপর! সৃষ্টিশীল শিল্পী রিচার্ড সোয়ার। তারই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হলো এই দ্বীপ।
সংবাদ মাধ্যমকে ব্রিটিশ শিল্পী ও এই দ্বীপের মালিক রিচার্ড সোয়া বলেছেন, ‘এটা আমি বানিয়েছি একটুখানি প্রশান্তির জন্য। পরিত্যাক্ত জিনিস ব্যবহার করে বেঁচে থাকার সুন্দর একটি উপায় হিসেবে তৈরি করেছি এটি। আমি পৃথিবীকে দেখাতে চাই যে, প্রাকৃতিক উপায়ে সব ধরনের আরামসহ কত সুন্দর করে আমরা ইচ্ছা করলে বাঁচতে পারি।’
রিচার্ড সোয়া ২০০৭ সালে কাজ শুরু করেন। ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল জমা করে নেটের ব্যাগের মধ্যে পুরে জড়ো করতে থাকেন। এরপর একটি বড় প্লাইউডকে এগুলোর ওপর ভাসিয়ে রাখে। তারপর মাটি ফেলে ভরে দেন প্লাইউডের ওপরের অংশটি।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো অসংখ্য ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ শোভা বাড়াচ্ছে এই দ্বীপটিতে। এখানে রয়েছে সৌর বিদ্যুৎ, পানিসহ বসবাসের যাবতীয় আয়োজন। ২০০৮ সাল হতে এই জয়ক্সি দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
পর্যটকরাও এখানে এসে অভিভূত হন। তারা এখানে এসে রোমাঞ্চকর অনুভূতি পান। পর্যটকরা অনুভব করেন। এরকম ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ দেখে তারা অভিভূত হন। সত্যিই এক চমৎকার দ্বীপ এই জয়ক্সি দ্বীপ।