দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিস্ট্রেশনের সময়-সীমা আর বাড়ানো হবে না বলে ঘোষণা করার পর আজ ২৯ এপ্রিল সারাদেশে রি-রেজিস্ট্রেশনের ধুম পড়ে গেছে রিটেইলারের দোকানে!
গতকাল ২৮ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগোযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, সিম নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হচ্ছে না। আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১ মে ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে অনিবন্ধিত সিম! মূলত এই ঘোষণা আসার পর রিটেইলারের দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা ভেবেছিল হয়তো সরকার সময়-সীমা বাড়াবে তারা ভিড় করছে সিম নিবন্ধনের জন্য।
আজ ২৯ এপ্রিল সকাল থেকেই রিটেইলারের দোকানগুলোতে চরম ভিড় লেগে আছে। এ বিষয়ে ভাষাণটেকের রিটেইলার শান্তর সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, আজ বহু মানুষ আসছে সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য। গত দু’মাস আমরা বসে বসে সময় পার করেছি। অনেকেই অলসতা করে সিম রেজিস্ট্রেশন করাননি। সময়-সীমা না বাড়ানোর সরকারি ঘোষণা আসার পর সবাই ভিড় করছেন। তবে এতো বেশি চাপ থাকার কারণে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে সমস্যা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। নেটওয়ার্কের কারণে রেজিস্ট্রেশন করতে সময়ও লেগে যাচ্ছে।
রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই দিনভর ভিড় ছিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রি-রেজিস্ট্রেশনের।
এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চলমান সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসির কাছে আগেই চিঠি দিয়েছে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। সিম নিবন্ধন শেষ করতে গ্রামীণফোন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ২ মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। অপরদিকে বাংলালিংক আগামী ৩১ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ১ মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বুধবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭ কোটি ৭৯ লাখ সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। আরও ১ কোটি ২১ লাখ গ্রাহক এই নিবন্ধনের আওতার বাইরে রয়েছে।