দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বই ছাপানোর সময় অনেক ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। ‘গরুর লেখা চিঠি স্থান পেলো পাঠ্যবইয়ে’ এমন কথা শুনে যে কেও ভাবতে পারেন ভুলক্রমে হয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়, ঘটনাটি ঘটেছে ইচ্ছে করেই!
আমরা জানি গরুকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দেওয়া হয় হিন্দু ধর্মে। গরুকে গৌ’মাতা বলে সম্বোধন করে থাকে হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা। যেহেতু গরুর দুধ খেয়ে শিশুরা বড় হয় তাই নিজের মায়ের মতো ভালোবাসেন গরুকে। তাই তারা বিভিন্ন সময় পূজা করে থাকেন গরুকে। এবার সেই ভালোবাসার নিদর্শন ফুটে উঠলো পাঠ্যবইতে!
ইন্ডিয়া টাইম্স এর খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতে অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যবই হতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহারলাল নেহেরুর জীবনী তুলে দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এবার ভারতের রাজস্থানে পাঠ্যবইতে এবার গরুর লেখা একটি রচনা ছাপা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবইতে চিঠি আকারে এই লেখাট সংযুক্ত করা হয়েছে।
ওই লেখাটিতে গরু ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমার কন্যা ও পুত্রগণ’। চিঠিতে গরু তার সন্তানদের উদ্দেশ্যে আরও বলেছেন, ‘আমি প্রত্যেককে স্বতন্ত্র শক্তি, বুদ্ধিমত্তা, দীর্ঘ জীবন , স্বাস্থ্য , সুখ এবং সমৃদ্ধি দেই। যারা আমার গুরুত্ব বোঝে ও আমাকে তাদের মা হিসেবে বিবেচনা করে, আমি তাদেরকে আমার সন্তানের মতো ভালোবাসি।’ সেখানে গরুর অনেক বড় একটি ছবিও ছাপানো হয়েছে।
সমাজে গরুর অবদানও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমি দুধ, মাখন ও ঘি আকারে জীবনের এক স্পর্শমণি প্রদান করছি। আমার মলমূত্র দ্বারা ঔষুধ, সার ও কীটনাশক উৎপাদন করে আমার সন্তানরা সাহায্য পাচ্ছে। কৃষিতে লাঙ্গল টেনেও আমি সাহায্য করছি। আমি আমার শ্বাসের মাধ্যমে পরিবেশ শুদ্ধ করার কাজ করছি।’
চিঠির সম্পর্কে ভারতের গরু মন্ত্রী বলেছেন, ‘এই চিঠির মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে গরু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’