দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দু’জনের নামের উচ্চারণ খুব কাছাকাছি। একজন থেরেসা মে। অপরজন তেরেসা মে। নামের উচ্চারণ প্রায় একই রকম হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
থেরেসা মে বৃটেনের ‘ইনকামিং’ প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়জন তেরেসা মে নারীদের অন্তর্বাসের গ্লামারাস মডেল। থেরেসা মে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মডেল তেরেসা মে অভিনন্দন বার্তায় ভেসে যাচ্ছেন। ভক্তরা মনে করেছেন মডেল তেরেসা মেই হচ্ছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী। এতে একদিকে ওই মডেল, অন্যদিকে থেরেসা মে দুজনেই পড়েছেন বিব্রতকার অবস্থায়। থেরেসা মে বুধবার বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এমন সময় তিনি হয়তো চান না তার নামের ওপর ছায়া ফেলুন অন্য কোনো নারী।
থেরেসা মে’র নামের ইংরেজি বানান হলো Theresa May । অপরদিকে মডেল তেরেসা মের নামের ইংরেজি বানান Teresa May। তাদের নামের বানানের পার্থক্য শুধু একটি ইংরেজি অক্ষর এইচ। অর্থাৎ থেরেসা মে বানানে একটি বাড়তি এইচ রয়েছে। তবে ভক্তরা তা বুঝতে পারেন নি বলেই এই হজিমত।
বৃটিশ মিডিয়ায় গত কয়েকদিন হলো খবর একটাই। তা হলো নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন থেরেসা মে। ভক্তরা ধরে নিয়েছেন এই থেরেসা মে তাদের জনপ্রিয় মডেল। আর তাই তারা তেরেসা মের টুইটারে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠাচ্ছেন। এক সময় বাধ্য হয়ে মডেল তেরেসা মে পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন যে, এতো মানুষ মনে করছে আমি থেরেসা মে। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছি। এতে আমি সত্যিই বিস্মিত। এতে ফুটে ওঠে মানুষ কতো মুর্খ!
শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের জীবনীপঞ্জিতে লিখেছেন, আমি একজন বৃটিশ গ্লামার মডেল। আমি প্রধানমন্ত্রী নই।
উল্লেখ্য, তেরেসা মে’র আসল নাম তেরেসা বেটারিজ। তিনি নারীদের অন্তর্বাসের প্রখ্যাত মডেল। এমনই এক অন্তর্বাস পরে তিনি টপলেস পোজ দিয়েছেন।