তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ আবারও বিএসএফ তাদের ইচ্ছা স্বাধীন মতো বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সামপ্রতিক সময়ে এতো আলোচনা-সমালোচনা হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এক বাংলাদেশী নাগরিককে ধরে নিয়ে গেছে। উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের রঙ্গারছড়া গ্রামের রমজান মিয়াকে ৩ মার্চ দুপুরে ভারতের লালঘাট সীমান্ত সড়কের পাশ থেকে শিলং ৮৩ বিএসএফ লালঘাট ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। রাতে তাকে বড় ছাড়া বিএসএফ কোম্পানি হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ-৮ বিজিবির চারাগাঁও বিওপির পক্ষ থেকে আটক বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত চেয়ে ৪ মার্চ লালঘাট বিএসএফকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক
সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সিলেট-শিলং সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। তাহিরপুরের লাউড়েরগড় সীমান্তের ওপারে মেইন পিলার ১২০৩-এর থ্রিএস সাব পিলার থেকে ভারতের ৫০০ গজ ভেতরে ঘোমাঘাট এলাকায় ৩ মার্চ এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর বৈঠক শেষে বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর গোলাম কিবরিয়া জানান, সিলেট ও শিলং সেক্টর পর্যায়ে ৩ মার্চ পতাকা বৈঠকে ভারতের শিলং বিএসএফ সেক্টরের ৪৪, ৮৩, ৯৮, ১০৮ ব্যাটালিয়ন এবং সিলেট সেক্টর বিজিবির ৮ ও ৫ ব্যাটালিয়নের অফিসার ও বিজিবির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলা পতাকা বৈঠকে ভারতীয় খাসিয়াদের নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের ওপর গুলিবর্ষণের ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধ, মাদক পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত, মাদক পাচার ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবি-বিএসএফের টহল জোরদারসহ সীমান্তসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। বাংলাদেশের পক্ষে সিলেট বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ও ভারতের শিলং বিএসএফের পক্ষে সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি সি আস্তানা নেতৃত্ব দেন। তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর।