দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি এটিএম কার্ডের পিন নম্বর হয় চার সংখ্যার। কিন্তু কেনো এটিএম কার্ডের পিন নম্বর চার সংখ্যার সেটি আমাদের জানা নেই। আজ জেনে নিন।
এটিএম আজকের দিনে কমবেশি সকলের কাছেই অত্যন্ত জরুরি বিষয়। সহজে টাকা উত্তোলন করার জন্য এর বিকল্প আর হতে পারে না। তবে আমরা দেখেছি এই এটিএম কার্ডের পিন নম্বরগুলো হয় চার সংখ্যার নম্বর। কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রির ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্তত ছয় সংখ্যা থেকে পিন শুরু হয়। অর্থাৎ ছয় সংখ্যা বা তারও বেশি নম্বর ব্যবহার করা হয়। তাহলে এটিএম কার্ডের ক্ষেত্রে কেনো চার সংখ্যার করা হলো?
এই এটিএম আপনার কষ্টার্জিত অর্থকে সুরক্ষিত রাখে। এই চারটি সংখ্যার জোরেই আবার যখন খুশি প্রয়োজন মতো এটিএম হতে টাকা তুলে নেওয়া যায়। অর্থাৎ অনলাইনে অর্থ-লেনদেনের প্রয়োজনেও এই পিন নম্বরটিই একমাত্র ভরসা।
আমরা কী কখনও ভেবে দেখেছি এটিএম কার্ডের এই পিন নম্বরটি চার সংখ্যার হয় কেনো?
এর কারণটার পিছনে ছিলেন নাকি একজন মহিলা। তবে তিনি কিন্তু এটিএম মেশিন বা এটিএম কার্ড অথবা পিন নম্বর ব্যবহার করে টাকা তোলার এই পদ্ধতি আবিষ্কার কিংবা উদ্বোধন করেননি। এই কাজটি করেছিলেন তার স্বামী।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভারতের শিলংয়ে জন্মানো স্কটিশ আবিষ্কারক জন অ্যাড্রিয়ান শেফার্ড ব্যারনই আজকের এটিএম মেশিন তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম পথপ্রদর্শক। তিনি নিজে নাকি ছয় সংখ্যার পিন নম্বর তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন। তবে তার স্ত্রী ক্যারোলিনের আপত্তিতেই নাকি শেষ পর্যন্ত পিন নম্বরটি চার সংখ্যার করার সিদ্ধান্ত নেন জন শেফার্ড ব্যারোন। এর কারণ হলো, ক্যারোলিনের স্মৃতিশক্তি খুব একটা ভালো ছিল না। যে কারণে ছয় সংখ্যার পিন নম্বর মনে রাখা তার পক্ষে হয়তো সম্ভব হতো না। ভুলে যাওয়া থেকে রেহাই পেতেই নাকি তিনি শেষ পর্যন্ত চার সংখ্যার পিন করার প্রস্তাব করেন।
এক্ষেত্রে জন শেফার্ড ব্যারোনের স্ত্রী ক্যারোলিনকে আমাদেরও ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরাও সহজ নম্বর ব্যবহার করতে পারছি! চার সংখ্যার পিন নম্বরই আমরা মাঝে-মধ্যে গুলিয়ে ফেলি; সেখানে ছয় সংখ্যার পিন নম্বর হলে আরও মুশকিল হতো আমাদের। তবে প্রতারণার হাত হতে রক্ষা পেতে মাঝে-মধ্যে পিন নম্বর বদলানো প্রয়োজন।