দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী চম্পা এবার মুখ খুললেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রযোজকরা নতুন ছেলে-মেয়েদের মাথা নষ্ট করে দিচ্ছেন’।
প্রয়াত পরিচালক শিবলী সাদিক পরিচালিত সুপারহিট চলচ্চিত্র ‘তিনকন্যা’র মধ্যদিয়ে আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই অভিনেত্রী, বাংলা চলচ্চিত্রের প্রিয়মুখ চম্পার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
শুধু চলচ্চিত্রই নয়, সেইসঙ্গে এ যাবত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। গত এক বছর পারিবারিক ব্যস্ততার জন্য দেশের বাইরে থাকায় অভিনয় হতে দূরে ছিলেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন পর এ বছর মা দিবসে একটি নাটকে অভিনয় করেন তিনি। নাটকটির নাম ‘জেরিন ও জলের গল্প’। নাটকটি প্রচারের পর বেশ সাড়া পান অভিনেত্রী চম্পা।
আসছে কোরবানী ঈদের জন্য তিনি আবারও কাজ শুরু করছেন। চম্পা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবারের কোরবানী ঈদে মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় ৬ পর্বের একটি কাজ করবো। কয়েকদিন পরই কাজটি করতে নেপালে যাবো। মাহফুজের নিজের প্রোডাকশন এই নাটকটি। এই নাটকে সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন নায়ক রিয়াজ।
সাম্প্রতিক সময় এই প্রজন্মের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে চলচ্চিত্রে আসতে। তবে তারা সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগেই ঝরে পড়ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে চম্পা বলেন, ‘এজন্য নতুন ছেলে-মেয়েদের দোষ দিবো না। ‘প্রযোজকরা নতুন ছেলে-মেয়েদের মাথা নষ্ট করে দিচ্ছেন।’
চম্পা আরও বলেন, যখন একটা নতুন ছেলে বা মেয়ে চলচ্চিত্রে আসে, তখন তাকে প্রযোজক কিংবা পরিচালকরা কাজ শেখানোর বদলে তার মাথা আগেই নষ্ট করে দেন। যেমন তাদের বলা হয়, ‘তুমি হিরো হয়ে গেছো, তুমি হিরোইন হয়ে গেছো’ ইত্যাদি। ঘটনাটি এমন হয়, একটা ফুল ফোটার আগেই এভাবে কলিতেই তারা মেরে ফেলছেন! পরিচর্যা না করে মূলত তাদের নষ্ট করে দিচ্ছেন তারা। সেজন্য আমাদের গোড়াটা আগে ঠিক করতে হবে। অল্প বয়সীদের যেভাবে তাদেরকে গড়া হবে, ঠিক সেভাবেই তৈরি হবে তারা। একজন অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রী হবার পেছনে তার নিজের চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে একজন প্রযোজক কিংবা পরিচালকের গুরুত্ব রয়েছে সমান।’
বর্তমান চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ সময়ে চলচ্চিত্রের গল্পে অনেক পিছিয়ে রয়েছি আমরা। কি ছবি দেখবো, সেই প্রাচীন আমলের টিনএজ প্রেমের মধ্যেই আটকে রয়েছি আমরা। গল্পে তেমন কোনো বৈচিত্র্য নেই। এসব থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, চলচ্চিত্রের সুদিন একদিন ফিরবেই।’