দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিয়েতনামকে যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়েছে চীন। বুধবারই খবর আসে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জে মোবাইল রকেট লঞ্চার মোতায়েন করেছে ভিয়েতনাম।
এই বিষয়টি মোটেই হালকাভাবে নেয়নি বেইজিং। চীনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘ভিয়েতনাম মারাত্মক ভুল করেছে।’ সংবাদপত্রের মাধ্যমে বেইজিং-এর হুমকি হলো, ভিয়েতনামের মনে রাখা উচিৎ, শেষ বার যখন চীন-ভিয়েতনাম যুদ্ধ হয়েছিল, তখন চীনই সে যুদ্ধে কিন্তু জিতেছিল।
দক্ষিণ চীন সাগরে জলসীমা সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে চীন-ভিয়েতনাম টানাপোড়েন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ১৯৮৮ সালের যুদ্ধে ভিয়েতনামের হাত হতে স্প্র্যাটলিস আর্কিপেলাগোর অনেকগুলি দ্বীপ ছিনিয়ে নেয় চীন। সে যুদ্ধে ভিয়েতনাম নৌসেনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে এখন ভিয়েতনাম নৌসেনা আগেকার মতো দুর্বল নয়। যে কারণে স্প্র্যাটলিস দ্বীপপুঞ্জের যেসব এলাকায় এখনও চীন পা ফেলেনি সেগুলি সুরক্ষিত করতে চাইছে ভিয়েতনাম। গত মাসে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং-এর আগ্রাসনকে সম্পূর্ণ অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করার পর ভিয়েতনাম আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।
স্প্র্যাটলিসের বেশ কিছু দ্বীপে ভিয়েতনাম নৌসেনা যে সেখানে পা ফেলবে, হ্যানয় সে ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছিল আগেই। বুধবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স পশ্চিমা দেশগুলির পদস্থ কর্তাদের উদ্ধৃত করে জানায়, ভিয়েতনাম ইতিমধ্যেই স্প্র্যাটলিসের বেশ কয়েকটি দ্বীপে মোবাইল রকেট লঞ্চার পাঠিয়েছে। এমন কয়েকটি দ্বীপে সেগুলি মোতায়েনও করা হয়েছে, যেখান থেকে ওই বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের অন্যত্র গড়ে ওঠা চীনা সামরিক পরিকাঠামোয় যে কোনো সময় আঘাত হানা সম্ভব।
রয়টার্সের এই খবরের প্রতিক্রিয়া দিয়ে ওয়াশিংটন জানায়, ভিয়েতনামের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে তারা অবগত। দক্ষিণ চীন সাগরে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে সংশ্লিষ্ট সব দেশকেই সংযমী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও ওয়াশিংটন মন্তব্য করেছে।
এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চীন কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ‘ভিয়েতনামের সাম্প্রতিকতম সামরিক পদক্ষেপের নিশানা যদি চীন হয়, তাহলে তারা মারাত্মক ভুল করলো। চীন বলেছে, আমরা আশা করি, ভিয়েতনাম ইতিহাসের কথা স্মরণ করবে ও তার থেকে কিছু শিক্ষা নেওয়ারও চেষ্টা করবে।’
চীনের সঙ্গে যুদ্ধে ভিয়েতনামের বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির কথা মনে করিয়ে দিতেই যে গ্লোবাল টাইমসে এই কথা লেখা হয়েছে, তা এখন স্পষ্ট।