দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে রহস্যময় অনেক মমির খরব রয়েছে। তবে এবার জানা গেলো ভারতেও রয়েছে এক আশ্চর্যজনক এবং রহস্যময় মমি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভারতের হিমাচল প্রদেশের স্পিতি জেলার গুয়ে নামের এক অখ্যাত গ্রামে গেলেই দেখা যাবে এই রহস্যময় মমিটি। এই গ্রামটি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ওই মমির জন্যই।
একদিন দু’দিনের নয়, ৫০০ বছরের এই প্রাচীন মমিটি নাকি এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর। পঞ্চদশ শতকের ওই সন্ন্যাসীর নাম হলো সংঘ তেনজিন। ১৯৭৫ সালে এই মমিটি উদ্ধার করা হয়। ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি স্তূপ হতে পাওয়া যায় এই মমিটি।
৫০০ বছরেরও বেশি পূর্বে মৃত্যু হয় ওই সন্ন্যাসীর। মমিটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে বসা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল সন্যাসী সংঘ তেনজিনের। পা মুড়ে বসা ও মুখটা ডান পায়ের হাঁটুর উপরে রাখা। তবে মুখটা একটু খোলা। সেখানেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মমির দাঁত।
মৃতদেহ মমি করে রাখার জন্য নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এখানেই এই মমিটিকে বলা হয় রহস্যময়। কোনো রকম রাসায়নিক ছাড়াই রয়েছে এই মমিটি। মিউজিয়মে একাধিক কাঁচের স্তর দিয়ে মমি ঢাকা থাকে। তবে এখানে একটি সাধারণ কাঁচে ঘেরা থাকলেও মমিটি রহস্যজনকভাবে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থাতেই রয়েছে। উদ্ধার হওয়ার পরও তেমন কোনও পরিবর্তনই হয়নি।
গবেষকদের মতে, বৌদ্ধ ধর্মাচারণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, সাধনার মাধ্যমে নিজে থেকেই মমি হয়ে ওঠার পদ্ধতির কথা শোনা যায়। মনে করা হচ্ছে, সংঘ তেনজিনও হয়তো সেই পদ্ধতিতে নিজেই জীবিত অবস্থায় মমি হওয়ার সাধনা করেছিলেন।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, বছরের পর বছর সাধারণ খাবার ত্যাগ করে নানা রকম ওষুধ পান করে শরীরকে মেদশূণ্য করার পদ্ধতি নিতেন সে সময় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। এই মমির ক্ষেত্রে হয়তো এমনটিই ঘটেছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।