দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীর বা আঙুলে রত্ন ধারণের বিষয়ে জ্যোতিষবীদদের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তাতে বলা রয়েছে বুড়ো আঙুলে আংটি পরা নিষিদ্ধ! কিন্তু কেনো?
কোন আঙুলে কোন রত্ন ধারণ করা উচিত বা উচিত নয় তা জ্যোতিষে বিশদভাবে উল্লিখিত রয়েছে।
গ্রহরত্ন ধারণের উপায় সাধারণত তিনটি।
১. তাবিজ-কবচ-মাদুলি বিসেবে রত্নকে কণ্ঠে ধারণ করা।
২. তাবিজ-কবচ-মাদুলি বানিয়ে বাহুতে ধারণ করা।
৩. রত্নকে আংটিতে বসিয়ে সেটি আঙুলে ধারণ করা।
তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে যেনোতেনো প্রকারেণ বাজার হতে রত্ন কিনে তাকে আঙটিতে বসিয়ে যে কোনও আঙুলে ধারণ করা যাবে না। রত্নের যেমন শ্রেণিবিভাগ রয়েছে, ঠিক তেমনই কোন রত্ন কোন ধাতুতে ধারণ করতে হবে, সেটিরও নির্দেশনা রয়েছে। সবার উপরে রয়েছে রত্ন ধারণের বিষয়ে জ্যোতিষীদের স্পষ্ট নির্দেশ। কোন আঙুলে কোন রত্ন ধারণ করা উচিত বা উচিত নয়, তা জ্যোতিষে বিশদভাবে উল্লিখিত রয়েছে।
প্রাচীন জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা তাঁদের সংহিতাগুলিতে স্পষ্টভাবে দেখিয়েছিলেন, হাতের আঙুলগুলি কোনও না কোনওভাবে দেহের কোনও না কোনও অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মূলত এক একটি আঙুল মস্তিষ্কের এক একটি এলাকাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যে কারণে হরমোন ক্ষরণের অনেক কিছুই নির্ভর করে আঙুলের উপরে।
অনামিকা, মধ্যমা, তর্জনি, এমনকি কনিষ্ঠা আঙুলে আংটি পরার নির্দেশ থাকলেও বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ বা বুড়ো আঙুলে আংটি পরা তথা রত্নধারণকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করে থাকে জ্যোতিষ সংহিতাগুলি।
এই নিষেধাজ্ঞার পিছনে নাকি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণও রয়েছে। প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হতো, বুড়ো আঙুলের সঙ্গে মস্তিষ্কের যে অংশের লেনাদেনা রয়েছে, সেখান হতে সুখানুভূতির হরমোনগুলি নাকি নিঃসৃত হয়। আর এই আঙুলটি বুধ গ্রহের সঙ্গে জড়িত। বুধ কিংবা ভেনাস মূলত প্রেমের বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। আর তাই এই আঙুলে যে কোনও ধাতব স্পর্শ এই বিশেষ হরমোনের ক্ষরণকে ব্যাহত করতে পারে। জীবন হতে সুখ উদ্বায়িত হতে পারে। আর সেই কারণেই বুড়ো আঙুলে আংটি কিংবা অন্য কোনও রকম অলঙ্কার ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই কাওকে কখনও আমরা বুড়ো আঙুলে আংটি পরতে দেখিনি।