দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরিশালের বানাড়ীপাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীতেগতকাল ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও চার শিশুর লাশ উদ্ধারসহ মোট ১৮ জন দাঁড়ালো নিহতের সংখ্যা।
এদিকে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৯ জন। গতকাল (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের দাসেরহাট মজিদবাড়ী লঞ্চ ঘাট এলাকায় এই লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, বানাড়ীপাড়া লঞ্চঘাট থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় ‘এমএল ঐশি’ নামের এই লঞ্চটি ৪০/৫০ জন যাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা উজিরপুরের হাবিবপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ লঞ্চটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত দাসেরহাট মজিদবাড়ী ঘাটে ভিড়ে। যাত্রী উঠা-নামা করার সময় এক পর্যায়ে নদী তীরের একটি বিরাট অংশ ভেঙ্গে লঞ্চের উপর পড়লে লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে তীব্র স্রোতে তলিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তীব্র স্রোতের পাশাপাশি পানির গভীরতা প্রায় ৫০ হতে ৬০ ফুট ছিল।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত লঞ্চের নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বি আউডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী এরা হলেন:
উজিরপুর: কেশবকাঠী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক (৭৫), মনিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সুখদেব মল্লিক (৩৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল হাওলাদার (৫৫),
বানারীপাড়া: মজিবর রহমানের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪০) ও মজিদ মাষ্টারের স্ত্রী সালেহা বেগম (৬০), সাঈদ আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫), মৃত: চান্দু মিঞার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪৫), মৃত: ইসমাইল মোল্লার ছেলে মুজাম্মেল মোল্লা (৬২), রহিম হাওলাদারের স্ত্রী রেহানা বেগম (৩৫)
বানারীপাড়ার আবুল ঘরামীর ছেলে মিলন ঘরামী (৩২), মোঃ সাগর মীর (১৫), আঃ মজিদ’র স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫), উজিরপুরের সিদ্দিকুর রহমানের শিশু মেয়ে শান্ত (৭) এবং স্বরূপকাঠীর কামাল হোসেনের স্ত্রী হিরা বেগম।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আরও ৪ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা হলো:
লাশ উদ্ধার হওয়া খুকু মনির (মিলন ঘরামী’র স্ত্রী) ছেলে সাফওয়ান (৩), লাশ উদ্ধার হওয়া রেহানা বেগমের ছেলে রিয়াদ হাওলাদার (৫), উজিরপুরের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাফি (৭) ও বানারীপাড়ার আলমগীর হোসেনের শিশু মেয়ে মারিয়া বেগম (৩)।