দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের বিমান বাহিনীর রয়েছে জানিয়ে এ বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল অরূপ রাহা।
নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মার্শাল অরূপ রাহা। তিনি বলেছেন, বিমান বাহিনী ছাড়াও সেনা ও নৌবাহিনীও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ‘সার্জিক্যাল’ হামলার দাবির পর এবারই প্রথম ভারতের কোনো শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন।
তবে সার্জিক্যাল হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল অরূপ রাহা।
বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল অরূপ রাহা হলেন ভারতের তিন বাহিনীর ‘চিফ অব স্টাফস’ কমিটির চেয়ারম্যান।
সাংবাদিকদের সার্জিক্যাল হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং এর জের এখনও রয়ে গেছে, তাই বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
ভারতের ‘সার্জিক্যাল’ হামলার পর হতে সীমান্তের কাছে মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। তবে এই মহড়াকে পাত্তা না দিয়ে এটি একটি ‘কাকতালীয় হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন মার্শাল অরূপ রাহা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরির সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ১৯ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘সার্জিক্যাল’ হামলা চালানোর দাবি করছে ভারত। এতে দু’জন পাক সেনা নিহত হন। তবে পাকিস্তানের দাবি সার্জিক্যাল হামলা নয় এটি বিনা উস্কানিতে সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে।
পরদিন পাল্টা হামলায় ৮ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তবে ভারত এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের এমন একটা যুদ্ধাবস্থায় দেশদুটি নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে যুদ্ধের মতো দামামা। যা বিশ্ববাসী কেওই আশা করে না। যুদ্ধ মানেই রক্তপাত আর জীবননাশ ও বহু ক্ষয়ক্ষতি। তাই যুদ্ধ হতে বেরিয়ে আসায় হলো এক অবারিত শান্তির পথে আসা। ভারত ও পাকিস্তান তাদের সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে শান্তির পথে ধাবিত হবেন সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।