দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবর্জনা ডাস্টবিনেই শোভা পায়। কিন্তু সেই আবর্জনা যদি সঙ্গে করে বয়ে বেড়ান তাহলে কেমন হবে? কিন্তু এক ব্যক্তি সারাক্ষণ বয়ে বেড়াচ্ছেন নিজের আবর্জনা নিজেই!
বিষযটি নিয়ে আপনি একবার ভাবুন, গত এক মাসে আপনি ঘর বা অফিসের কাজে যেসব আবর্জনা তৈরি করেছেন, যদি সেসব আবর্জনা বয়ে বেড়ান তাহলে কেমন লাগবে? বিষয়টি আসলে বিব্রতকর হলেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন নিউইয়র্কের এক ব্যক্তি। রব গ্রিনফিল্ড নামের আজব প্রকৃতির ওই ব্যক্তি স্বচ্ছ একটি প্লাস্টিকের স্যুটের নিচে নিজের শরীরেই বয়ে বেড়াচ্ছেন তার প্রতিদিনের আবর্জনা!
তার পরিকল্পনা হলো, এক মাসে যে আবর্জনা জমবে, সেটি শরীরে বয়ে বেড়াবেন তিনি। আর তাকে অনুসরণ করছেন একজন ক্যামেরাম্যান। নিউইয়র্ক সিটিতেই তিনি ওই আবর্জনা বয়ে বেড়াচ্ছেন!
এক তথ্য অনুযায়ী, একজন আমেরিকান প্রতিদিন গড়ে ৪.৫ পাউন্ড আবর্জনা তৈরি করেন, সে হিসাবে এক মাসে অর্থাৎ ৩০ দিনে জমা হবে ১৩৫ পাউন্ড আবর্জনা!
গ্রিনফিল্ড বলছেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ ভাবেন না তারা প্রতিদিন কী পরিমাণ আবর্জনা তৈরি করছেন। ময়লার ঝুড়িতে ওই সব আবর্জনা ফেলে দেওয়ার পর তা চলে যায় সবার নজর এমনকি চিন্তার বাইরে। যদিও প্রায় সবাই জানেন প্রতিদিন আমেরিকানরা গড়ে সাড়ে ৪ পাউন্ড আবর্জনা তৈরি করছেন। বিষয়টি নিয়ে কোনো খবর হচ্ছে না, কিংবা সচেতনতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে না।’
গ্রিনফিল্ডের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করার একটিই কারণ আর তা হলো আমেরিকানদের সচেতন করে তোলার চেষ্টা করা। তার এই উদ্যোগটির ভিডিও করা হচ্ছে। আবার ব্লগেও পাওয়া যাবে তাকে। এই সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে তাকে সহায়তা করছে ‘লিভিং অন ওয়ান’ নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং ইমপ্যাক্ট স্টুডিও।
ছবি নির্মাতা গ্যারি বেনচেগিবও মাসজুড়ে এই অভিযানে তাকে সহায়তা করবেন। মূলত পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে সচেতন করা এবং আবর্জনা কমাতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করাই গ্রিনফিল্ডের প্রধান উদ্দেশ্য।