দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ আপনি কি জানেন? সারাদিনের পরিশ্রমের কারণে আপনার মস্তিষ্কে অনেক আবর্জনা জমে? গবেষণা বলছে ঘুম মানুষের মস্তিষ্কের সেই আবর্জনা পরিষ্কারে সহায়ক।
সারাদিন অনেক কঠিন কাজ করার ফলে মস্তিষ্ক অনেক চাপ নিয়ে থাকে। এতে করে দিন শেষে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। আর একটি প্রশান্তির ঘুম পারে সেই মাথা ব্যথা সারিয়ে দিতে। আমেরিকার একদল গবেষক গবেষণায় দেখেছেন মানুষের ঘুম আসার পেছনে মূল কারণ পরিশ্রম এবং সারাদিনের পরিশ্রমের ফলে সৃষ্ট মানসিক চাপ অনেকটা লাঘব হয় যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমানো যায়। এই গবেষক দল আরো বলেছেন মানুষ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমালে তার মানসিক বিকলাঙ্গতা ঘটার সম্ভাবনা কমে যায়।
বিজ্ঞানীরা একটি ইঁদুরের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখতে পান, ঘুমানোর সাথে সাথে ইঁদুরের মস্তিষ্কের কোষে সেরিব্রাল স্পাইনাল ফ্লুইড পাম্প হয় এবং ঘুম যত গাড় হয় ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের শিরা বেয়ে আবর্জনা বেরিয়ে যাচ্ছে। এসব আবর্জনার মাঝে থাকে অ্যামিলয়েড বেটা যার কারণে আল্সহাইমার রোগ হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের গবেষণা মতে মানুষ সারাদিন যেসব কাজ করে তার কিছু অংশ তাদের মস্তিষ্কে রয়ে যায়, যা মস্তিষ্কে আবর্জনা হিসেবে থাকে। এসব আবর্জনা থেকে গেলে মানুষের স্নায়ুবিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। ফলে ঘুমানোর মাধ্যমে মস্তিষ্ক আবর্জনা পরিষ্কার করে আবার সজীব হয়ে উঠে।
গবেষকদের একজন ডাক্তার নেইল স্টানলি বলেন, “এটা সত্যি একটা বিশেষ আবিষ্কার যে ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের আবর্জনা পরিষ্কারে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এতদিন আমরা জানতাম শারীরিক অবসাদের কারণেই আমরা ঘুমাই, কিন্তু নতুন এই গবেষণার ফলে আমরা জানতে পারলাম ঘুম শারীরিক এবং মস্তিষ্কে কেমিক্যাল পরিবর্তন ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।”
অতএব সারাদিনের কর্ম ব্যস্ত সময় শেষে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে নিন, না হলে শরীরের নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং মস্তিষ্ক ঠিক ঠাক কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।
ধন্যবাদান্তেঃ বিবিসি