দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কতো বছর বাঁচবেন? এমন প্রশ্ন করা একেবারেই অবান্তর। তবে বিজ্ঞান চেষ্টা করছেন এর একটা উত্তর খুঁজে বের করার!
একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানেন কখন কার মৃত্যু হবে। মৃত্যুর উপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, এটি সত্যি। তারপরও মানুষের জীবনাচার, ইতিহাস ও আরও নানা বিষয়গুলো সামনে এনে বিজ্ঞান যে উত্তরটা মোটামুটিভাবে খুঁজে পেয়েছেন, আর তা হলো- আপনি হয়তো সব মিলিয়ে ১২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন!
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদল বছরের পর বছর ধরে মানুষের আয়ু নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তারা নানা তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছেন যে, মানুষের জীবনকাল একটি নির্দিষ্ট সময়সীমায় থেমে যায়। গবেষণা বলছে যে, মানুষ সম্ভবত ১২২ বছরের চেয়ে বেশি অতিক্রম করতে পারবে না।
গবেষণা করে গবেষকরা দেখেছেন, ১৯ শতকের পর খাদ্যাভ্যাস, জনস্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ে উন্নতি হওয়ায় মানুষের গড় আয়ু অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, আজকের সময় যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা একটি শিশুর সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ধরা হয় ৭৯ বছর। অথচ ১৯০০ সালে এটি ছিল মাত্র ৪৭ বছর। গবেষকরা এমনই বলছেন।
সত্তরের দশকে সমগ্রবিশ্বে মানুষের আয়ুষ্কাল আরও বৃদ্ধি পায়। ফ্রান্সের একজন নারী, জেনি ক্যালমেন্ট ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে ইতিহাসে আয়ুষ্কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তাই হিসাব-নিকাশ করে গবেষকরা বলছেন, পরিবেশ বদলে যাওয়া, প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও নানা ব্যাপার মিলিয়ে মানুষের আয়ুষ্কাল বাড়ছে। সবদিক বিবেচনা করে গবেষকরা বলেছেন, শেষ পর্যন্ত এই বেড়ে চলা আয়ুষ্কাল থামতে পারে ১২৫-এ গিয়ে! এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন যে, আপনি হয়তো ১২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন! আসলেও কী তাই?