দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধ কারও কাম্য হতে পারে না। এই আধুনিক যুগেও মানুষ যদি যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে তাহলে সেটি বড়ই পরিতাপের বিষয়। যদি সত্যিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগে তাহলে বিশ্বের কোথায় আপনি নিরাপদভাবে বসবাস করবেন?
সারা বিশ্বই যেনো যুদ্ধরত অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের দামামা শুরু হয়েছে। এমন যুদ্ধাবস্থায় বাঁচার রাস্তা খোঁজাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে!
সমগ্র বিশ্বের একটা বড় অংশে রব উঠেছে যুদ্ধ যুদ্ধ। জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে গদি বাঁচাতে কিছু রাষ্ট্রনেতা যুদ্ধ লাগাতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। সেখানে অস্ত্র বিক্রিও একটি বড় দায়। এমন এক পরিস্থিতিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হলে উলুখাগড়াদের প্রাণহানিই একমাত্র ভবিতব্য। তাই এই যুদ্ধের দামামা হতে বাঁচার রাস্তা খোঁজাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ!
সত্যিই যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগেই যায় তাহলে বিশ্বের কোথায় গেলে আপনি নিরাপদে বা নির্ঝঞ্ঝাটে বসবাস করতে পারবেন? আসুন সেই জায়গাগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আইল অফ লিউইস
আইল অফ লিউইস হলো স্কটল্যান্ডের একটি দ্বীপ। এটি মেনল্যান্ড হতে অনেকটাই দূরে। অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো। তাছাড়া নির্ঝঞ্ঝাট স্থান এটি। এখানে নির্ভাবনায় বসবাস করা যেতেই পারে।
আইসল্যান্ড
অনেকটা ছবির মতো সুন্দর একটি দেশ হলো আইসল্যান্ড। এই দেশটির অবস্থান বলা যায় পৃথিবীর প্রত্যন্ত অংশেই। দেশটির অর্থনীতির অবস্থাও খুব একটা খারাপ নয়। প্রচুর মাছ এই আইসল্যান্ডে। তাই বলা যায়, খাদ্যাভাব হওয়ার কোনো চিন্তা নেই। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো প্রভাব এখানে পড়ার চান্স নেই বলা যায়।
কানসাস সিটি
কানসাস সিটি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহর। এই শহরটি অতি শান্তিপূর্ণ। একেবারে চাষের জমিতে মোড়ানো। এখানে কোনো খাদ্যাভাব নেই। আবার যুদ্ধের প্রকোপও পড়ার ভয় নেই এখানে।
কেপটাউন
কেপটাউন হলো দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ধনী শহর। পশ্চিমী অশান্তি হতে এই শহরকে যতোটা সম্ভব দূরে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব হতে মুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউকন
ইউকন হলো কানাডার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছবির মতো সুন্দর একটি প্রদেশ। গ্রাম্য এক সাবলিল জীবন, খাবারের অভাব নেই, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ স্থান এটি।
আন্টার্কটিকা
আন্টার্কটিকার নামটি শুনতে একটু বিচিত্র লাগলেও, অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে একেবারে মন্দ স্থান নয় এটি। শীতের তীব্রতা থাকলেও, একটু সইয়ে নিতে পারলে অন্তত যুদ্ধের সময় আশ্রয়স্থল হতে পারে।