দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভালোবাসার বাণী অনেক। যুগে যুগে ভালোবাসার জন্য মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তবে এই ভালোবাসার মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমি ঘটনাও চোখে পড়ে। আজ রয়েছে এমন এক অসম ভালোবাসার গল্প!
ভালোবাসার আসল বিষয় হলো মনে। মনের মধ্যে ভালোবাসা জন্মালে তখন সেটি এক সময় বহি:প্রকাশ ঘটে। ভালোবাসা জন্মালে স্থান-কাল-পাত্র কোনো কিছুর ঠিক থাকে না। যেমন ঘটেছে মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার ২৮ বছরের জেমস লুসটেড এর ক্ষেত্রে। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ২২ বছরের প্রেমিকা চোলকে। চোলের উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি! ৩ বছরের প্রেমের পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
ব্রিটেনের উত্তর ওয়েলেসে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ওই ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিয়ের সময় উচ্চতার জন্য বিপাকে পড়েন প্রেমিক জেমস। উচ্চতায় ছোট হওয়ায় কনেকে চুমু দেওয়া কিংবা আংটি পরাতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে মইয়ে চড়ে কনেকে চুমু খাওয়া এবং আংটি পরানোর কাজ সারলেন জেমস!
এই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় উত্তর ওয়েলসের জনপ্রিয় গির্জা সেন্ট মার্গারেটে। বামন জেমসকে বিয়ে না করতে অনেকেই চোলেকে পরামর্শও দিয়েছিলেন। তবে ভালোবাসা কখনও কোনো বাঁধা মানে না। তাই ভালোবাসার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে চোলে এবং জেমসের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়ায়।
জেমস নিজের বানানো মই সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি এই মইটি বিশেষভাবে বানিয়েছি। মইটি আমাকে চোলের চেয়ে কয়েক ইঞ্চি লম্বা দেখায়। এটিতে চড়ে অন্যান্য দম্পতির মতো চুমু খাওয়া ও আংটি পরানোর কাজ সহজেই করা সম্ভব হয়েছে।’
পৃথিবীর ইতিহাস বলে, ভালোবাসা একজন মানুষকে অসাধ্য সাধন করে থাকে। এই অসাধ্য সাধন করেছেন চোলে। পরিবারের নানা বাঁকা কথা শোনার পরও বামন বরকেই বিয়ে করেছেন তিনি। কাজটি খুবই কঠিন ছিল তাতে সন্দেহ নেই। তবে জেমস লুসটেডকে বিয়ে করে তিনি খুব খুশি হয়েছেন।
চোলে বলেছেন, ‘আমাদের দুজনের মধ্যে উচ্চতার ব্যবধান রয়েছে। তবে আপনি যখন প্রেমে পড়বেন তখন এই সামান্য ব্যাপারটি আপনার নিকট বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’
দুজনই ধর্মপ্রাণ খ্রিষ্টান। জেমস পেশায় মুখাভিনেতা ও চোলি শিক্ষিকা। উত্তর ওয়েলসের সেন্ট মার্গারেট চার্চে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
উল্লেখ্য, বর জেমস লুসটেড ড্রায়াসট্রোফিক ডেসফ্লাসিয়া নামে এক জেনেটিক সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জেমসের বাবা-মাও এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন।