দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন মুলুকে। এবার খবর বেরিয়েছে, ট্রাম্প অভিশংসনের মুখোমুখি হতে পারেন?
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নানা বিতর্কের জন্ম দেওয়ায় কেওই যেনো তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানতে পারছেন না মার্কিন নাগরিকরা।
অনেকেই মনে করছেন, আইনি প্রক্রিয়াতেই ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা যেতে পারে। তাদেরই একজন হলেন আইন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্রিস্টোফার পিটারসন।
এই আইন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এই দুটি এমন অপরাধ যাতে তাকে অভিশংসন করা যেতে পারে।
প্রফেসর পিটারসন বলেছেন, ট্রাম্পকে যদি সত্যি সত্যি অভিশংসনের মুখোমুখি করা যায়, তাহলে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দেশের নেতৃত্ব দিতে পারেন।
জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৫টির মতো মামলা রয়েছে। এরমধ্যে প্রতারণা এবং জালিয়াতির মামলাও রয়েছে।
এসব মামলার মধ্যে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করা একটি মামলার শুনানি আগামী তিন সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে হবে বলে জানা যায়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ট্রাম্পের অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি গরিব শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কোনো কাজে আসেনি। তিনি একটি প্রোগ্রামের আওতায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার অভিভাবকের নিকট হতে বড় অংকের ফান্ডও সংগ্রহ করেন। ২০১০ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেন।
২০১৩ সালে ট্রাম্প তার অনিবন্ধিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বে-আইনিভাবে চার কোটি ডলার অনুদান তোলেন। এই অভিযোগেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিউইয়র্কের সিনেট অ্যাটর্নি জেনারেলের কর্মকর্তা অ্যামি স্পিটালনিক এই মামলাটি করেছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে এই মামলাটির বিচার চলবে বলে রায় দেন আদালত। অবশ্য এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রফেসের পিটারসন দাবি করেছেন যে, ট্রাম্প দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমেরিকায় মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে ব্যবসা করা সম্পূর্ণ বে-আইনি কাজ। তবে ট্রাম্প এমন কাজটিই করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রমাণও রয়েছে।’
এমন এক পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, এসব মামলায় চরম বেকায়দায় পড়তে পারেন নব নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তিনি অভিশংসনের মুখোমুখিও হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।