দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা মাংসের বিরায়ানি খেতে পছন্দ করি। সেটি হতে পারে গরু, খাসি কিংবা মুরগির বিরিয়ানি। কিন্তু এবার শোনা গেলো বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানির কথা!
আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমের খবরে জেনেছি, ভারতের কোলকাতা শহরেই নাকি বিরিয়ানিকে ব্যান্টার করার জন্য ‘কুত্তা বিরিয়ানি’ কিংবা ‘কাউয়া বিরিয়ানির’ গপ্পো ছড়ানো হয়ে থাকে। এবার সেসব গপ্পের সব সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে। বিরিয়ানির ইতিহাসে নতুন নজির গড়েছে ভারতের চেন্নাই। সেখানে ‘বিল্লি বিরিয়ানি’ নিয়ে এই মুহূর্তে চলছে ঘোর সোরগোল!
চেন্নাই শহরের কোনও কোনও এলাকায় নাকি, বিশেষ করে পল্লভরম অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি ‘বিল্লি বিরিয়ানি’! এই খবর পেয়ে ‘পিপল ফর অ্যানিম্যালস’ নামের একটি পশুপ্রেমী সংগঠন পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় সম্প্রতি ওই এলাকা হতে ১৬টি বিড়াল উদ্ধার করেছে।
ওই বিড়ালগুলিকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছিলো। এই বিড়ালদের কোনও রকমের খাবার, এমনকী পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় তারা বেশ কিছুদিন ধরেই ছিলো, তার প্রমাণ হিসেবে বিরাজ করছিলো তাদের গায়ের পোকা এবং তাদের অসুস্থতা। বন্দি বিড়ালগুলিকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তারা হিংস্র হয়ে উঠেছে।
তামিলনাডুর এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, নারিকুরাভর সম্প্রদায়ের মানুষই এই বিড়াল-বিরিয়ানির মূল হোতা। জানা গেছে, তারা পরম্পরাগতভাবেই বিড়াল-ভক্ষক। বিরিয়ানিতে বিড়ালের মাংস তাদের কাছে নাকি কোনও বিশেষ ব্যাপারই নয়। পল্লভরম অঞ্চলের বাজারে খাঁচাবন্দি বিড়ালগুলিকে সরাসরি ফুটন্ত পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়। তারপর ১০০টাকা প্রতি কেজি দরে চলে মাংসের বেচা-কেনা।
এ বিষয়ে নারিকরাভর সম্প্রদায়ের বক্তব্য হলো, তারা এতোটাই দরিদ্র যে, মুরগি কেনার ক্ষমতা তাদের একেবারেই নেই। সে কারণে বিড়ালের মাংস খেতে তারা বাধ্য হন। তবে এই যুক্তি মোটেই মানতে রাজি নন পশু-অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি। তারা রীতিমতো সরব হয়ে উঠেছেন বিষয়টি নিয়ে। সংবাদ মাধ্যমের এই বিষয়ে আসছে নানা খবর।