দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের রাজত্বই যে সব সময় কায়েম থাকে তা কিন্তু নয়। মাঝে-মধ্যে আবার এর ব্যতিক্রম ঘটনাও ঘটে। আজ রয়েছে এমন কয়েকটি শহরের কথা, যে শহর পশু-পাখিদের দখলে!
আমাদের চারপাশে অসংখ্য পশু-পাখি রয়েছে। তবে তাদের উপস্থিতির একটা নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। তবে যদি এমন কিছু শোনেন যে পশু-পাখিরা পুরো শহর দখল করে নিয়েছে তাহলে আপনার শুনতে কেমন লাগবে? ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে পৃথিবীর ইতিহাসে! এক একটি শহর পুরোপুরি ভরে গেছে কোনো নির্দিষ্ট পশু কিংবা পাখিতে! আসুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তবেই ঘটে যাওয়া এমন কিছু শহরের কথা, যেখানে পশু-পাখিরা দখল করে নিয়েছিলো।
রাশিয়ান-চাইনিজ সীমান্তের খুব নিকটে অবস্থিত সাইবেরিয়ার লিচেগোরস্ক শহর। ২০১৫ সালের কথা। এক দিন হঠাৎ করেই সেখানে আক্রমণ করে বসলো একে একে ৩৬টি বুনো ভাল্লুক! কেবল বুনোই নয়, তারা ছিলো রীতিমতো ক্ষুধার্ত। বনে নিজেদের খাবারের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত হামলা শুরু করে তারা লোকালয়ে। পুরো শহরটিকে দখল করে নিতে খুব একটা সময় লাগেনি বুনো ভাল্লুকদের।
প্রথমে বুনো ভাল্লুকদের হঠাৎ আক্রমনে ঘাবড়ে যায় স্থানীয় প্রশাসন। পরে শহরের সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে নির্দেশ দিয়ে ভাল্লুকদেরকে তাড়িয়ে দিতে এবং কিছু ভাল্লুককে মেরে ফেলতে বাধ্য হয় স্থানীয় প্রশাসন। তারপরও পুরোপুরিভাবে রক্ষা করতে পারেনি শহরের নাগরিকদের। ৫ নাগরিক মারা যায় এই ঘটনায়।
বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০১২ সালের কথা। ক্যালিফোর্নিয়ার পেন্সিলভেনিয়া শহরে সে সময় হঠাৎ করেই ঝাঁক বেঁধে কাক উড়ে আসতে শুরু করে। কাকে কাকে ছেয়ে যায় পুরো শহরের আকাশ। কাকেদের সম্মিলিত চিৎকার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয় জনগণের!
শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে কাকের শরীর হতে শহরের জনগণের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে রোগ- এমন আশঙ্কাতে ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালের ভয়ানক শীতে শহরের উষ্ণতা পেতেই এমন একটি কাণ্ড করেছিলো কাকগুলো। তবে যে কারণেই করে থাকুক না কেনো, কাকদের এমন উদ্ভট ব্যবহার থামাতে শেষ পর্যন্ত ঔষধি স্প্রে ব্যবহার করতে বাধ্য হয় স্থানীয় প্রশাসন। অবশেষে মুক্তি মেলে আকাশভরা কাকের দল হতে!
এই শহরের কাহিনী ২০০৯ সালের। অষ্ট্রেলিয়ার ডকার নদীর পাশের শহরটির জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে যখন প্রায় ৬ হাজার বা তারও বেশি উট প্রতিনিয়ত শহরের পানি আর খাবারে দূষণ ছড়াতে শুরু করে। সেইসঙ্গে দিনকে দিন তাদের গতি-প্রকৃতিও হয়ে পড়েছিল বেশ উচ্ছৃংখল। এর কয়েক বছর পূর্বে এই শহরটির বাসিন্দাদের চলাফেলার সুবিধার্তেই আনা হয় এই উটগুলো।
পরবর্তীকালে প্রযুক্তি উন্নত হলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তখন এতো বেশি সংখ্যা ছিলোনা উটগুলোর। পরবর্তীতে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে উটগুলো বেশ বড় একটি স্থান দখল করে নেয় শহরের। সেইসঙ্গে তৈরি করতে থাকে নানারকম সমস্যাও। যে কারণে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উটগুলোর ব্যাপারে। কিছু কিছু উটকে বাধ্য হয়ে মেরে ফেলা শুরু করে সরকার। এভাবে শহরকে পশুমুক্ত করে সেখানকার প্রশাসন!
This post was last modified on ডিসেম্বর ২, ২০১৬ 11:39 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৌরির গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যস্ত সময় পার করে বছরশেষে একটু বেড়াতে গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ এক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানলে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি ভারতের। সেখানকার কুচামন পুরসভার বিরোধী নেতা অনিল সিংহ মেদতিয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৪ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ঘুমনোর সময় ত্বক ‘হিল’ হয়। তাই রাতের স্কিন কেয়ারের…