দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভার ট্র্যাজেডির উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে কিন্তু স্বজনহারাদের আর্তনাদ এখনও রয়েই গেছে। এখনও সেখানে ভীড় করছেন স্বজনরা। কবে শেষ হবে স্বজনহারাদের এই আর্তনাদ তা কেও জানেনা।
সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পর সাভারের রানা প্লাজার চারদিকে কাটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিনই মানুষের ভীড় হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের এখনও সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি এমন স্বজনহারা এখনও ভীড় করে আছেন কাটাতারের বেড়ার কাছে। জীবিত ফিরে পাননি কিন্তু লাশটিও যে তারা ফিরে পাবেন না এটি যেনো তারা কোন প্রকারেই মেনে নিতে পারছেন না। যে কারণে এখনও সাভার রানা প্লাজার আশে-পাশের এলাকার বাতাস স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে।
এখনও কাটাতারের বেড়ার কাছে গেলে উৎকট গন্ধ বের হচ্ছে। সেখানে স্বজনরা বিলাপ করছেন, ‘এত দিন পরও গন্ধ যায় নাই। পইচা গেছে সোনা-জাদুরা। এইখানেই মনে হয় আমার মাইয়াডা।’ মেয়ে রেখা খাতুনের ছবি হাতে বিলাপ করে চলছিলেন মা মর্জিনা বেগম। এক সময় তিনি বললেন, ‘বাবা, ছয়ডা সন্তান নিয়া সংসার চালাইতে কষ্ট হইত। বাপে ঠিকমতো রিকশা চালাইতে পারে না। এই কারণে সংসারের সাহাইয্য করতে বড় মাইয়াডা কামে আইছিল। বুঝি নাই, ইটের লগে মিশা যাইব।’ ময়মনসিংহের গণ্ডফা এলাকার মর্জিনা বেগম স্বামী আজিজুলের সঙ্গে ২৫ দিন ধরে সাভারেই খুঁজে ফিরছেন মেয়েকে।
এমন আরও অনেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনদের। কবে হবে তাদের আশা পূরণ? স্বজনহারাদের এই বিলাপ কি কখনও শেষ হবে? এখন শুধু এই প্রশ্নই সকলকে তাড়া করে ফিরছে।
উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল সাভার বাজারের রানা প্লাজায় স্মরণকালের ভয়াবহ এ ভবন ধসে পড়ার পর ২০ দিন ধরে চলে উদ্ধার অভিযান। ১৩ মে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়। সেখান থেকে আড়াই হাজার মানুষকে জীবিত ও ১১২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও ৫৫৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।