দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী এখন বিশ্ব মিডিয়ায়। এবার মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শিশু হত্যার এক মর্মস্পর্শী চিত্র উঠে এসেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর গণহত্যা এবং গণধর্ষণ হতে রেহাই পেতে পলায়নরত রোহিঙ্গাবাহী নৌকায় গুলিও চালিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি)।
গুলিতে তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত চার শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩১ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। গতি রবিবার দিবাগত রাতে রাখাইনের মংডুর উত্তরাঞ্চলে নাফ নদীতে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার পরদিন (সোমবার) মিয়ানমার সময় সকাল ৭টার দিকে নাফ নদীর তীরে দুটি শিশু ও একজন নারীর মরদেহ পড়েছিল। মানুষ কতোটা নির্দয় হতে পারে এই ছবি তারই প্রমাণ বহন করছে!
এদেরমধ্যে একটি শিশু মাটিতে এমনভাবে পড়েছিল যার সঙ্গে গত বছরের ২ সেপ্টম্বরের সিরিয়ার শরণার্থী শিশু আইলান কুর্দির মরদেহের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়াভিত্তিক রোহিঙ্গা ভিশন টিভির মাধ্যমে এই ছবিটি প্রচার হয়েছে যা ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে দেখা দিয়েছে।
শিশু হত্যার এই বিভৎস চিত্র দেখে অনেকেই মিয়ানমারের হাত হতে রোহিঙ্গা শিশুদের উদ্ধারে দেশটিতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন।
আরভিশন টিভি বলেছে, ডুবে যাওয়া নৌকাগুলোর আরোহীদের বেশির ভাগই ছিলো উত্তর মংডুর রাইমাবিল গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা অধিবাসী।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশের মংডু ও পার্শ্ববর্তী রাতেডং শহরের তিনটি চৌকিতে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীদের হামলায় ১৩ জন সীমান্তরক্ষী নিহত হওয়ার পর রোহিঙ্গা মুসলমানদের অভিযুক্ত করে তাদের গ্রামগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে শুরু হয় মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।