দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিরিয়ার আইলানের মতো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যুর খবর আবার বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে। পরিচয় মিলেছে সেই রোহিঙ্গা শিশুটির!
বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মিয়ানমারে নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করা ওই শিশুটির ছবি। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির পরিচয় না পাওয়া গেলেও নাফ নদের তীরে কাদায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ওই শিশুটির পরিচয় এবার পাওয়া গেছে। শিশুটির নাম তৌহিদ। মিয়ানমারের মংডু থানার বড়গজিরবিল গ্রামের বাসিন্দা ছিল ওই শিশুটি। তার বাবার নাম জাফর আলম, তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী। এই শিশুটির মায়ের নাম ছেনোয়ারা বেগম।
গত রবিবার রাতে মিয়ানমারের বড়গজিরবিল গ্রাম হতে একদল রোহিঙ্গা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টার সময় ডুবে যাওয়া নৌকায় অন্যদের সঙ্গে এই শিশু তৌহিদ এবং তার মাও ছিলেন। পরে তার লাশ পাওয়া যায় মিয়ানমারের নাফ নদের কাঁদায় আটকে থাকা অবস্থায়।
এই নৌকাডুবি ঘটনার পর রেহেনা বেগম নামে এক নারী সাঁতার কেটে বাংলাদেশের জলসীমায় লালদিয়া দ্বীপে আশ্রয় নেয়। গতকাল ভোরে বাংলাদেশী জেলেরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সাংবাদিকরা তৌহিদের ছবি রেহেনা বেগম দেখিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে তখন তিনি জানান, শিশুটির নাম তৌহিদ। শিশুটি তাঁর খালাতো ভাই। নৌকাডুবির সময় মাসহ তৌহিদও নৌকাটিতে ছিলো।
উদ্ধার হওয়া ওই নারী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, টেকনাফের এক দালালের মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। নৌকাটি ছোট হলেও অতিরিক্ত মানুষ বোঝাই হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নৌকাটি ডুবে যায়।
উল্লেখ্য, শিশুটির ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর তার পরিচয় না পেয়ে শিশুটিকে ‘মিয়ানমারের আয়লান’ বলে ডাকা হচ্ছিল।