দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও আপত্তিকর কন্টেন্ট প্রকাশ বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের মধ্য হতে পরিচালিত পর্নসাইটগুলো ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করতেও একটি উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর অনলাইন আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক সভায় বাংলাদেশে ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও আপত্তিকর কন্টেন্ট প্রকাশ বন্ধে একটি কমিটিও গঠন করে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
এই কমিটি ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি এবং আপত্তিকর কনটেন্টের পূর্ণাঙ্গ ওয়েব তালিকা প্রস্তুত করে এগুলো বন্ধে তিন স্তরের কারিগরি প্রস্তাবনা তৈরি করবে বলে জানানো হয়।
তালিকা এবং কারিগরি প্রস্তাবনা পাওয়ার পর ইন্টারনেটে এইসব পর্নগ্রাফি ও আপত্তিকর কন্টেন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা।
কমিটি গঠনের পর কাজ শুরু হয়েছে। কমিটি গঠনের দিন হতে ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা এবং কারিগরি প্রস্তাবনা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, “যেসব পেইজগুলো দেশের ভেতর জেনারেট করা হচ্ছে, সেগুলো র্যানডম বন্ধ করবে আইএসপিগুলো। সব আইএসপিগুলোকে এই সাইটগুলো বন্ধ করতে হবে, কারণ কেও যদি ব্লক না করে, তাহলে তাদের কাস্টমার বেড়ে যাবে।”
বাংলাদেশের বাইরে থেকে প্রতিনিয়ত এই ধরনের অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে বলে এক্ষেত্রে শতভাগ সফল হওয়া কঠিন বলে স্বীকার করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তবে তিনি মনে করেন, “৮০ হতে ৭০ ভাগ পারলেও অনেক বড় কাজ হবে।”
এই ধরনের ওয়েবসাইট বন্ধের সক্ষমতা অর্জনের জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) এবং ইন্টারনেট গেইটওয়ে (আইআইজি) গুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বিটিআরসির হিসাবে এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৬৮ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লাখের বেশি মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
পর্নসাইটে যারা ঢোকেন, তাদের চিহ্নিত করার পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, “যেগুলো ইন্টারন্যাশনালি জেনারেট হচ্ছে ওইগুলো অ্যাকসেস করতে হলে এমন একটি ম্যাকানিজম করতে পারি কি না, যাতে ওইটা এক্সপোজড হয় যে কে কে এটি অ্যাকসেস করছে।
তিনি মনে করেন, “এক্সপোজড হওয়ার ভয়েও মানুষ ওইটা দেখবে না। এই জিনিসটা করার জন্য প্ল্যান করা হচ্ছে।”