দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এক বিপদজনক কাজ। দিনের পর দিন বিষাক্ত সাপের সঙ্গে ঘর করা কী কারও শখ হতে পারে? অবাক মনে করলেও ঘটনাটি সত্যি।
এমন একটি কথাই শুনিয়েছেন মহারাষ্ট্রের দুই ব্যক্তি রঞ্জিত খারঘে ও তাঁর সহকর্মী ধনঞ্জয় বেডকুট।
মানুষের কতো রকমের শখই না থাকে! শখ পূরণের জন্য চূড়ান্ত ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না অনেকেই। তাই বলে দিনের পর দিন বিষাক্ত সাপের সঙ্গে ঘর করা কী কারও শখ হতে পারে? সম্প্রতি ওই দুই রুমবিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাটে পুলিশ ৭০টি বিষাক্ত সাপ খুঁজে পেয়েছে!
প্রতিবেশীরা বিন্দুমাত্র আভাস পাননি এমন ধরনের একটি মারাত্মক ঘটনার কথা। আচমকাই ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয় চাকন পুলিশ। পুলিশ এই কাণ্ড দেখে দু’জনকেই গ্রেফতার করে। ধরা পড়ার পর অবশ্য সাপ রাখাকে নিজেদের শখ বলে জানালেও পুলিশ তাদের কোনো কথা বিশ্বাস করেনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে যে, এই দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সাপের বিষ-পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার হওয়া সাপের মধ্যে ৪১টি কোবরা রয়েছে। চাকন ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের হাতে ওই সাপগুলো তুলে দিয়েছে পুলিশ। ওই দুই ব্যক্তির নামে বন্যপ্রাণী রক্ষার ৯ ও ১১ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের এক দালালের হাতে সাপের বিষ তুলে দিতো রঞ্জিত ও ধনঞ্জয়। যে আবাসনে তাঁরা থাকতেন, সেখানকার এক কর্মী বলেছেন, দু’জনের কেওই বিশেষ কথা বলতেন না অনান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে। তবে আবাসনের ভিতরে কোনও সাপ কখনও এসে পড়লে সাহায্যের জন্য তাঁদের ডাকা হতো। আর এতে তারা কোনো রকম আপত্তি করতেন না!