দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে অনেক ঘটনার খবর আমরা শুনেছি। তবে আজ রয়েছে এক প্রাচীন ফসলের ক্ষেতের সন্ধান পাওয়ার খবর!
সেখানকার পরিস্থিতিটা অনেকটা এমন, চারদিকে বড় বড় পাথর। মাঝখানের স্থানটুকু সমান। এখানে লাগানো হয়েছিল আলু। আজকের কথা নয়, প্রায় ৩ হাজার ৮শ’ বছর আগের কথা!
এমন আলুর ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া গেছে ব্রিটিশ কলম্বিয়া এলাকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিই হলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ফসলের ক্ষেত!
দ্য জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সের ডিসেম্বর ইস্যুতে বিষয়টিতে বিশেষজ্ঞদের উদ্বৃতি দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, শিকারী মানুষের ফসল করার ব্যাপারটির ক্ষেত এটিই ‘প্রথম উদাহরণ’।
কেবল আলুক্ষেতই নয়, সেখানে পাওয়া যায় বিভিন্ন কাঠের উপকরণও। যা ৩ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের পূর্বের মানুষ এসব উপকরণ দিয়ে বাগান পরিচর্যা করতো। পরিষ্কারভাবে বললে, তখন কৃষি উপকরণ ব্যবহারও শিখে গিয়েছিলো মানুষ। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ওইসব এলাকায় কাৎজি গোত্রের মানুষ বসবাস করতো।
প্রত্মতত্ত্ববিদ তানজা হফম্যান ও সিমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এ বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে ওই আলুক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রকল্পটি কাৎজি গোত্রের মানুষ নিয়ে গবেষণা করছিলো।
গবেষকরা আলুক্ষেতটি খুঁজে পান জলাশয়ের নিচে। শতকের পর শতকজুড়ে ওই জলাশয় টিকে রয়েছে। জলাশয়ের পানি সরাতেই চোখে পড়েছে ওয়াপাতো টিউবার নামে এক ধরনের ফসলের অস্তিত্ব। যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে এক ধরনের আলু হিসেবেই পরিচিত। আলুক্ষেতের চারদিকে ছিল পাথরের দেওয়াল।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এসব পাথর এখানে প্রাকৃতিকভাবে হয়নি, বরং আলু রক্ষার জন্য এসব পাথরের দেওয়াল স্থাপন করে তারা। শুধু তাই নয়, ওই বাগান বা ক্ষেতে নিয়মমতো পানি প্রবেশ করানোর মতো ব্যবস্থাও তৈরি করে ৩ হাজার ৮শ’ বছর আগের মানুষ!
ওই জলাশয়ের পাশেই শুকনো এলাকা। গবেষকরা বলেছেন, এসব এলাকায় মানুষ বসবাস করতো। আলুক্ষেতের আশপাশে প্রায় ১৫০ ধরনের কাঠের যন্ত্রপাতির অংশবিশেষ পাওয়া যায়। গবেষকদের দাবি হলো, এগুলো কৃষি উপকরণ। এসব যন্ত্রদিয়ে মাটি খুঁড়ে চারা রোপণ করতো তখনকার আদিম মানুষগুলো।